আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
শহীদরা শহীদ, তাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পাঁচলাইশে জুলাই স্মৃতি উদ্যান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, যারা সাড়ে ১৫ বছরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জীবন দিয়েছেন তাদেরও একই সঙ্গে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেন আর কখনোই ফ্যাসিবাদ ফেরত আসতে না পারে, আগামী দিনের প্রজন্ম যেন এ উদ্যানে এসে বা উড়াল সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কথা মনে রাখতে পারেন, তাদের ত্যাগের কথা মনে রাখতে পারেন সেই জন্যই মূলত উড়াল সেতু ও উদ্যানের উদ্বোধন।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, শহীদদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকবে না। শহীদরা শহীদ। শহীদদের তালিকা দেওয়া থাকবে। শহীদদের সম্মান দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দৃশ্যমান করার কাজ মেয়র সাহেবরা করবেন। আন্ডারপাসও দরকার।
তিনি বলেন, উদ্যান জায়গা সবার জন্য উন্মুক্ত, কোনো গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় থাকা যেন মানুষ যেতে পারে সেই কাজগুলো আমরা চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ সবার সহযোগিতায় এটা বাস্তবায়িত হবে। বড় বিষয় হচ্ছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা। এটি আমাদের নজরে আছে। জলাবদ্ধতা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। মেয়র, সিডিএ, ডিসি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ হচ্ছে।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পাঁচলাইশে ঐতিহ্যবাহী পার্ক, আমরা একসময় জাতিসংঘ পার্ক নামে চিনতাম। শৈশব এখানে কেটেছে। এটি নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। আমি মনে করি এটার দায়িত্ব চসিক, সিডিও, জেলাপ্রশাসন, আমাদের নিতে হবে। একসময় আমাদের সমন্বয় ছিল না। এখন একসাথে মিলে কাজ করছি। একসাথে মিলে চট্টগ্রামকে সাজাতে চাই। সব কিছু জনগণের জন্য আমরা করতে চাই। পতেঙ্গাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চাই। সময় লাগবে। আমরা আশা করছি, আমাদের মধ্যে যে সমন্বয় আছে এটার মাধ্যমে কাজ করতে পারলে চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি করতে পারবো।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, যে চেতনা নিয়ে আমাদের এই জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের নয়জন বীর শহীদ প্রাণ দিয়েছেন, নতুন একটি গণতান্ত্রিক ইতিহাস লিখেছেন তাদের সেই চেতনা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি সরকার সেই কাজ করছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যেসব পার্ক অবৈধ দখলদারদের আওতায় রয়েছে তা উদ্ধার করবো। ইতিমধ্যে ডিসি পার্কের ১৯৪ একর জায়গা মাদকের আস্তানা থেকে রক্ষা করেছি। পতেঙ্গা মাঝখানে জৌলুস হারিয়েছিল। সেই জৌলুস ফিরিয়ে দিতে সিডিএ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে।
এর আগে উপদেষ্টা পতেঙ্গায় শহীদ ওয়াসিম আকরাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
বিআরইউ