Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

কুবি শিক্ষার্থীদের ‘র‍্যাপিড অ্যাকশন সেল’ গঠনের দাবি

কুবি প্রতিনিধি:

কুবি প্রতিনিধি:

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম


কুবি শিক্ষার্থীদের ‘র‍্যাপিড অ্যাকশন সেল’ গঠনের দাবি

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে র‍্যাপিড অ্যাকশন সেল গঠনের দাবিসহ উপাচার্য ও উপ- উপাচার্য  বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২রা ফেব্রুয়ারি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাত সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সবুজকে অপহরণ করা হয়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিনজন পুলিশের সহায়তায় অপহরণকারীদের হাত থেকে সবুজকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ছিল নীরব।

স্মারক লিপিতে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো ছিনতাই, অপহরণ হওয়া শিক্ষার্থীদের সমস্যায় প্রশাসনের বাদী হয়ে মামলা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সম্মুখ সড়কে স্পিডব্রেকারের ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষার্থীরা যাতে দুর্ঘটনার শিকার না হয় সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যৌথ উদ্যোগে পরিকল্পনা হাতে নেয়া। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘অপহরণকারীদের কীভাবে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া যায় এবং মামলার প্রসিডিওর দ্রুত চালানো যায় সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে। শিক্ষার্থীদের সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবো’।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা বসবো। এ বিষয়ে কি কি করা যায় এবং যে গ্যাপ গুলো সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করার চেষ্টা করবো।

ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুহসিন জামিল বলেন, সবুজের সাথে যা ঘটেছে, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারতো। আমরা যখন উদ্ধার অভিযানে ছিলাম, তখন মেয়ে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় আসে কারণ তারা-ও শহরে টিউশনি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নন। অনেক সময় তাদের কে হেনস্তার স্বীকার হতে হয়। তাই সকল বিষয় কনসার্নে রেখে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কে আরো সক্রিয় হতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা স্মারকলিপি প্রদান করি।

উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসের আশেপাশে অনেক মেয়ে শারীরিক হেনস্তার শিকার হয়। অনেক মেয়ে শিক্ষার্থী এটা নিয়ে কথা বলেছেন এবং ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।

বিআরইউ

Link copied!