Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার মারুফ

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৮:২০ পিএম


বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার মারুফ

গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের (এসএ টিভি) টকশোতে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ মারুফ। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য, কূটনীতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ঐতিহাসিক সামঞ্জস্য বিধান বিষয়ে আলোচনা করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শিবলী ইসলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং এতে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়।  

হাইকমিশনার মারুফ তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধিতে পাকিস্তানের নেওয়া পদক্ষেপসমূহ ব্যাখ্যা করেন।  

আলোচনায় মানুষে-মানুষে সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ভিসা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলা হয়। হাইকমিশনার মারুফ ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন। এছাড়াও, মেডিকেল ট্যুরিজম, শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি এবং কনস্যুলার সেবার উন্নয়নও সম্পর্কের দৃঢ়তা বৃদ্ধির জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ হিসেবে উঠে আসে।  

আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে হাইকমিশনার মারুফ বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা স্বার্থ নিয়ে কথা বলেন এবং সামরিক প্রযুক্তি ও অস্ত্র ক্রয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়টিও তুলে ধরেন। চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।  

ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ, আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। হাইকমিশনার বিষয়টির সংবেদনশীলতা স্বীকার করলেও ১৯৭৪ সালের ত্রিপাক্ষিক চুক্তির উল্লেখ করেন এবং ভবিষ্যতমুখী কূটনীতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি পাকিস্তানে বসবাসরত বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কল্যাণ এবং রোহিঙ্গা সংকটে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন।  

আলোচনা আরও বিস্তৃত হয় দুর্নীতি, বাণিজ্য সংক্রান্ত লজিস্টিকস এবং সার্কের আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসঙ্গের মাধ্যমে। হাইকমিশনার মারুফ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক একীভূতিকরণ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং এই অঞ্চলে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।  

অনুষ্ঠানটি পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে শেষ হয়। হাইকমিশনার মারুফ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা এবং সহযোগিতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরেএস

Link copied!