Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

জ্বালানি উপদেষ্টা

অর্থ সংকট থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম


অর্থ সংকট থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই
বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান/ ছবি- পিআইডি

বিদ্যুৎ খাতে অর্থ সংকট থাকার পরও দাম আপাতত বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, আগামী রমজানে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। আসন্ন গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবিলায় গ্যাস এবং জ্বালানি আমদানিতে যে অর্থসংস্থানের প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, অর্থ সংকট থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের ওপর অনেক চাপ থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের দাম বাড়াইনি। ব্যয় সংকোচন করে সমন্বয় করছি। তবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির যে প্রস্তাবনা তাতে বর্তমান গ্রাহকদের কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, গ্যাস আমদানিতে খরচ পড়ে ৭২ টাকা, আমরা বিক্রি করি ৩০ টাকায়। এ ঘাটতি সমন্বয়ের জন্য নতুন করে যারা গ্যাস সংযোগ নেবেন তাদের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, আসন্ন গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবিলায় গ্যাস এবং জ্বালানি আমদানিতে যে অর্থসংস্থানের প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে ৯০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়, রমজানে ১২০০ এমএমসিএফডি লাগবে। সেই লক্ষ্যে আমরা গ্যাসের সরবরাহ বাড়াবো। সরবরাহ জোগাতে ৪ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। রমজানে বিদ্যুতের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট এবং গ্রীষ্মে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুম আমরা লোডশেডিং মুক্ত রাখতে চেষ্টা করবো। লোডশেডিং মুক্ত মানে এই নয় যে, কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হবে না। নানান কারণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। আমরা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে একটি ভারসাম্য রাখবো। যাতে টেকনিক্যাল কোনো কারণ ছাড়া লোডশেডিং না হয়।

ফাওজুল কবির খান বলেন, গ্রীষ্মে দুই কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। একটা সেচ এবং আরেকটি কুলিং। সেচে আমরা বিদ্যুতের সরবরাহ কমাতে চাই না, কারণ সেচ বাধাগ্রস্ত হলে খাদ্য উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা সেচে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখবো। গ্রীষ্মে বিদ্যুতের যে ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার কথা বলেছি তার মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট শুধু কুলিংয়ের জন্য লাগছে। যাকে বলা হয় কুলিং লোড। এয়ারকুলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ব্যবহার না করে যদি ২৪ বা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ব্যবহার করি সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অবৈধ গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আমরা অবৈধ সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।

এর আগে বিকেল ৩টায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শুরু হয়। এতে বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএস

Link copied!