নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৩, ২০২৫, ১২:৩২ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৩, ২০২৫, ১২:৩২ এএম
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাসসহ সকল পাওনা ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি)।
পাশাপাশি, মার্চ মাসের বেতনের অন্তত ১৫ দিনের অংশ শ্রমিকদের পরিশোধ করতে মালিকপক্ষকে সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে আয়োজিত টিসিসির ৮৫তম সভায় শ্রম পরিস্থিতি ও শিল্প খাতের বেতন-বোনাস পরিশোধ এবং ছুটি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মোট সাতটি যৌথ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
টিসিসির নেওয়া সাতটি সিদ্ধান্ত:
১ ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না।
২ কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা শ্রম আইন অনুযায়ী ঈদের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করবেন, যা পার্শ্ববর্তী কারখানার ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
৩ শ্রমিকদের ২০ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাসসহ সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি, মার্চ মাসের বেতনের অন্তত ১৫ দিনের অংশ মালিকপক্ষ পরিশোধ করবে।
৪ বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-সহ মালিকপক্ষের ক্যাশ ইনসেনটিভ বাবদ সরকারের কাছে পাওনা দ্রুত পরিশোধের জন্য অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হবে।
৫ শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ এবং ছুটি সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় থাকবে।
৬ শ্রম পরিস্থিতি মনিটরিং করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করা হবে, যেখানে শ্রমিক-মালিকপক্ষের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা থাকবেন।
৭ ২৮ ও ২৯ মার্চ শিল্প এলাকাগুলোতে ব্যাংক খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধি, শিল্প পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করতে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ এই সিদ্ধান্তগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
ইএইচ