নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২১, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২১, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিমসটেক জোটের শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলন ঘিরে জোর আলোচনা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে। কিন্তু, সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বৈঠকটি নিয়ে। এখনও পর্যন্ত এ বৈঠক নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দিল্লি।
শুক্রবার বিকালে ভারতের রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা আপনারা জানতে চাইছেন, সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমার কাছে শেয়ার করার মতো কোনও আপডেট নেই।
এর আগে, দিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছিল, এপ্রিলের ২ থেকে ৪ তারিখ ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা যায় কিনা, ঢাকার কাছ থেকে তারা সেই প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু সেই বৈঠক হবে কিনা, ভারতের পক্ষ থেকে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, এখনই দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক করাটা ঠিক হবে কিনা–তা নিয়ে ভারত সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে স্পষ্টতই দ্বিধা-বিভক্তি বিরাজ করছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভারত তাতে সাড়া দেয়নি এবং সেই বৈঠকও হয়নি। দুই নেতার মধ্যে অবশ্য মাঝে টেলিফোনে সরাসরি কথাবার্তা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ দুই নেতা মুখোমুখি বৈঠক না করলেও একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নিউইয়র্কের পর দুই দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে ওমানের রাজধানী মাস্কটেও। এছাড়া, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিও গত ডিসেম্বরে ঢাকায় এসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তার কাউন্টারপার্ট জসীমউদ্দিনের সঙ্গে। অর্থাৎ, দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চ্যানেলগুলো ঠিকই চালু আছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিজেও বিবিসির সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঠিকই আছে, সব ভালোই চলছে। কথাবার্তাও হচ্ছে।
ইএইচ