সুমন খান, ঢাকা
এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
সুমন খান, ঢাকা
এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
কারিগরি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেও শিক্ষার্থীরা সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাননি। ফলে তারা বৈঠকে সন্তুষ্ট নন।
তিনি বলেন, “আমরা আজ অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি পাইনি। আজকের বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাই আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাচ্ছি। আমাদের দাবির আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চলমান থাকবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’-এর ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০% প্রমোশন কোটা বাতিল করা।
২. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নির্ধারণ।
৩. কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ।
৪. সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
৫. মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা চালু এবং শিক্ষকের পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আবেদন করার সুযোগ বাস্তবায়ন।
৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে ন্যূনতম বেতন স্কেল নির্ধারণ।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। আন্দোলনে ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায়ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শোয়াইব আহমাদ খান সাতরাস্তা মোড়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, পদোন্নতিতে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের’ কোনো কোটা রাখা হবে না।
তবে ডিজি ও অধ্যক্ষদের মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন এবং দাবি করেন, প্রতিটি দাবির বিষয়ে লিখিতভাবে সরকারকে পদক্ষেপ জানাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তা বাস্তবায়নের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেয় সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা অসহযোগ আন্দোলনের ডাকও দেন। তবে সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে আশ্বাস পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক কর্মসূচি শিথিল করে আলোচনায় বসেন।
তবে তাদের স্পষ্ট ঘোষণা— দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ইএইচ