Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫,

নববর্ষের চেতনায় উজ্জীবিত হোক বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি

প্রিন্ট সংস্করণ॥আখতার-উজ-জামান

এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৮:২৪ পিএম


নববর্ষের চেতনায় উজ্জীবিত হোক বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি

ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির দেশ বাংলাদেশ। বাংলা পুঞ্জিকা, ইংরেজি ক্যালেন্ডার আর আরবি মাসের হিসাব গণনা করে বিশেষ দিনগুলোতে বাঙালিরা বিভিন্ন দিবস উদযাপন করে থাকে। বাংলাদেশের ইতিহাস যেমন অনেক গুরুত্ব বহন করে, তেমনি সংস্কৃতিরও এক একটি ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। এখনো গ্রাম-গঞ্জে, শহর কিংবা উপশহরে হরেক রকম মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে বিভিন্ন ঐতিহ্যকে লালন করে। ইংরেজি ক্যালেন্ডারে যেমন ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখকে থার্টি ফার্স্ট বলে শেষ করা হয়। ঠিক বাংলা ১২ মাসের চৈত্র মাসটিকে বছরের শেষ দিন বা চৈত্র সংক্রান্তি বলে বিদায় দেয়া হয়। আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন এবং ষড় ঋতু গ্রীষ্ম শুরুর মাস পহেলা বৈশাখ। আবাহমান বাংলায় নতুন বছরের শুরুর দিন আর ব্যবসায়ীদের হালখাতার দিবসও বটে। বৈশাখের প্রথম দিন থেকে বাঙালি-জীবনে বছরের এক নব সূচনা ও নতুন জীবনের গোড়াপত্তন। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে বাঙালি-জীবনের একটা অতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। নবান্নের পর মানুষ এ মাসে যেন কর্মক্লান্ত জীবনের মাঝে অনাবিল স্বস্তি ফিরে পায়। কাজের চাপ নেই। ক্ষেত-খামারে যেতে হবে না আজকের দিনটিতে। কৃষাণীর ঘরে গোলাতে ধান তোলা হচ্ছে। সুতরাং সম্পূর্ণ অবসর জীবনও বলা যেতে পারে। গ্রামবাংলায় সন্ধ্যাবেলা গানের আসর বসে। আসরে শুরু হয় পালাগান ও পুঁথিপাঠ। আবার কখনো যাত্রাগানের আসরও বসে। বছরের অন্যান্য মাসে যেন সারা দিনমান ক্ষেতে খামারে কাজ করতে হয়, বৈশাখে এসে জীবনের ধারা বদলে যায়। এক নবদিগন্তের উন্মেষ ঘটে সারাদিন। সকাল থেকে সন্ধ্যা হয়ে ওঠে উৎসবে মুখরিত। গান-বাজনায় মেতে ওঠে জীবন। এ জীবনের মাঝেই বাঙালি কৃষ্টি আর সংস্কৃতিতে মানুষ খুঁজে পায় এক নতুন আস্বাদ, নতুন করে জীবন চলার পথের উপাদান প্রেরণা আর উদ্দীপনা। তাই বাঙালি জীবনে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেয়ে পল্লী শহর, উপ-শহরাঞ্চলসহ সারাদেশের মানুষের জীবনে এ মাসে, এ ঋতুতে নেমে আসে এক নব আনন্দধারা। এ ধারায় সঞ্চিত হয়ে মানুষ নব উদ্যমে পরের মাসগুলোর কর্মমুখর জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। তখনই সুরকার ও গীতিকার বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশাখে নবদিগন্তের বিখ্যাত ছন্দের গান উদ্ভাসিত হতে থাকে এইভাবে :- এসো হে বৈশাখ এসো এসো / তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে/ বৎসরের আবর্জনা- দূর হয়ে যাক/ যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।/ মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা/ রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি/ আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ/ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।এদিকে বিদ্রোহী, বিপ্লবী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল তার কবিতায় বাংলা নববষর্কে আহবান জানিয়ে বলেছেন :- ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল বোশেখীর ঝড়/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর/ প্রলয় নতুন সৃজন বেদন/ আসছে নবীন জীবন ধারা অসুন্দরে করতে ছেদন।’’ এরপরই বৈশাখে উৎসবের ঢল নেমে আসে। মেলা বসে গ্রামে গ্রামে। শহরে-নগরে গঞ্জে। কত না বিচিত্র্য হাতের তৈরি দ্রব্যসম্ভার সেসব মেলায় বিক্রি হয়। সে সকল দ্রব্যসামগ্রীতে বাংলার মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনধারার একটা স্পষ্ট চিত্র ফুটে ওঠে। এসকল মেলা যেন গ্রাম-বাংলার মানুষেরই প্রতিচ্ছবি। তাদের জীবন যেন খণ্ড-খণ্ড হয়ে ধরা পড়ে তাদের হাতের কারুকাজে। মাটির পুতুল, পাটের শিকা, তালপাতার পাখা, সোলার পাখি, বাঁশের বাঁশি, ঝিনুকের ঝাড়, পুঁতিরমালা, মাটির তৈরি হাতি-ঘোড়া বাঘ-সিংহ কত যে অদ্ভুত সব সুন্দর জিনিসের সমাবেশ ঘটে সেই মেলায়, চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হয় না বাংলার মানুষের জীবন কত সমৃদ্ধশালী। মানুষ গরীব হতে পারে, দারিদ্র্য চিরসাথী হতে পারে, কিন্তু এসব জীবন জটিলতা তাদের মনকে আনন্দ খুশি থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। গানে-সঙ্গীতে তারা তাদের জীবনকে ভরিয়ে তোলে। শীত পেরিয়ে আসে বসন্ত। কোকিলের কুহুতান শেষ হয়ে গেলে বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্ম আসে। পৌষ-মাঘের শীত আর ফাল্গুন-চৈত্রের বসন্ত যেন এক হয়ে তাদের জীবন আনন্দ হিল্লোলিত করে তোলে বৈশাখের আগমনে। তাদের জীবনে নতুন গতি আসে। নতুন পথ-পরিক্রমার বার্তা বয়ে আনে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ গ্রীষ্মকাল। কিন্তু গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ তাদের জীবনকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করতে পারে না। তারা খুশিতে গান গায়, তারা আনন্দে নাচে, তারা সংগীতের আসরের আয়োজন করে। তাই বৈশাখ বাংলার মানুষের জীবনী শক্তি। আমার লিখনীতে বরাবরই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। বর্ষপঞ্জি জীবনের একটা অপরিহার্য প্রসঙ্গের নাম। দিন, মাস, সনের হিসাব ছাড়া আধুনিক পৃথিবীতে কোনো কাজই চলে না। বাংলাদেশে তিনটি বর্ষপঞ্জির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সরকারি-বেসরকারি দাপ্তরিক কাজ, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও লেনদেনের ক্ষেত্রে ইংরেজি বর্ষপঞ্জি একটা অপরিহার্য মাধ্যম। হিন্দু সমপ্রদায়ের পূজা-পার্বণ, বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ আর কৃষিজীবীদের মৌসুমের হিসাব ছাড়া বাংলাদেশে বাংলা পঞ্জিকার ব্যবহার খুব একটা চোখে পড়ার মতো নয়। মুসলমানদের নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, লাইলাতুল ক্বদর, শবে-বরাত, মিলাদুন্নবীসহ ধর্মীয় বিষয়াবলির জন্য হিজরি সনের হিসাব অপরিহার্য বিষয়। জীবনের প্রাসঙ্গিকতায় ইংরেজি ও বাংলা সনের বিদায় ও বরণে যতটা গুরুত্ব প্রদান করা হয় হিজরি সনের ক্ষেত্রে তা মোটেও লক্ষ্য করা যায় না। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রতি এতটা অবজ্ঞা সত্যিই দুঃখজনক। সাধারণ মানুষ তো বটেই; অনেক আলেম যারা ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পরিচালনা করে থাকেন, তারাও হিজরি পঞ্জিকার দিন তারিখের খবর রাখেন না। পৃথিবীতে আদিকাল থেকে বছর গণনার রীতি চলে এলেও সন নির্ধারণের জন্য কোনো সর্বজনীন পদ্ধতি চালু ছিলো না। তাই মানুষ কোনো বিশেষ বা ঐতিহাসিক ঘটনার বছর প্রথম ধরে বছরের সংখ্যা নির্দেশ করত। যেমন আবরাহা বাহিনীর কাবা আক্রমণের বছরকে কেন্দ্র করে বলত- আমুল ফিলের এত বছর পরে বা আগে। অথবা দুর্ভিক্ষের বছরের আগের বা পরের ঘটনা। বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ বাংলাদেশ এবং ভারত বর্ষের একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত সৌরপঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌরদিন গণনা শুরু হয়। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে মোট ৩৬৫ দিন কয়েক ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই সময়টা এক সৌর বছর। গ্রেগরিয়ান সনের মতো বাংলা সনেও মোট ১২ মাস। এগুলো হল:-বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র। আকাশে রাশিমণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে বঙ্গাব্দের মাসের হিসাব হয়ে থাকে।যেমন যে সময় সূর্য মেষ রাশিতে থাকে সে মাসের নাম বৈশাখ। বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ সৌরপঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। বাংলাদেশ এবং পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে এই বর্ষপঞ্জি ব্যবহূত হয়। বাংলা সন শুরু হয় পহেলা বৈশাখ বা বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে। যে দিনটি ইংরেজি বর্ষপঞ্জির ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশে এবং ১৪ বা ১৫ এপ্রিল ভারতে পালিত হয়। বাংলা সন সব সময়ই গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির চেয়ে ৫৯৩ বছর কম।১৫৫৬ সালে শুরু হয়েছিলো বাংলা সনের প্রবর্তন। মোগল সম্রাট জালালউদ্দীন মোহাম্মদ আকবরের সিংহাসনে আরোহনের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তার রাজস্ব কর্মকর্তা আমির ফতেহ্উল্লাহ সিরাজী প্রথম ১৫৫৬ সালে উৎসব হিসেবে বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশ দেন। একই ধারাবাহিকতায় ১৬০৮ সালে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নির্দেশে সুবেদার ইসলাম খাঁ চিশতি ঢাকাকে যখন রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলেন, তখন থেকেই রাজস্ব আদায় ও ব্যবসা বাণিজ্যের হিসাব-নিকাশ শুরু করার জন্য বাংলা বছর পহেলা বৈশাখকে উৎসবের দিন হিসেবে পালন শুরু করেন। ঐতিহাসিক তথ্যে আছে যে, সম্রাট আকবরের অনুকরণে সুবেদার ইসলাম চিশতি তার বাসভবনের সামনে সব প্রজার শুভ কামনা করে মিষ্টি বিতরণ এবং বৈশাখী উৎসব পালন করতেন। সেখানে সরকারি সুবেদার হতে শুরু করে জমিদার, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকত। প্রজারা খাজনা নিয়ে আসত সেই উপলক্ষে সেখানে খাজনা আদায় ও হিসাব-নিকাশের পাশাপাশি চলত মেলায় গান-বাজনা, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি খেলা ও হালখাতা অনুষ্ঠান। পরবর্তীতে ঢাকা শহরে মিটফোর্ডের নলগোলায়, ভাওয়াল রাজার কাচারিবাড়ি, বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী ঢাকার নবাবদের আহসান মঞ্জিল, ফরাসগঞ্জের রূপলাল হাউস, পাটুয়াটুলীর জমিদার ওয়াইযের নীলকুঠির সামনে প্রতি পহেলা বৈশাখে রাজ পুন্যাহ অনুষ্ঠান হতো। প্রজারা নতুন জামা-কাপড় পড়ে জমিদারবাড়িতে খাজনা দিতে আসত। জমিদাররা আঙ্গীনায় নেমে এসে প্রজাদের সাথে কুশল বিনিময় করতেন। সবশেষে ভোজপর্ব দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হতো। বাঙালি সংস্কৃতিতে প্রতি মাসে একটা না একটা পার্বণ লেগেই আছে। এই পার্বণ তো প্রবাদে পরিণত হয়েছে। তাই বলা হয়, বাংলাদেশ বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ। বৈশাখ মাসেও প্রবাদের সেই বাণীর কথা নানান পার্বণের মাঝ দিয়ে প্রতিফলিত হয়। পালা-পার্বণের এই দেশে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লেগেই আছে। জাতিগতভাবেও বাঙালি ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির দেশ ৪৮ বছরের স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। সামাজিক অনুষ্ঠানে নানা ধরনের গান পরিবেশিত হয়। এসব গানে বাংলার মানুষের প্রাণের কথা, মনের ভাষা, হূদয়ের আবেদন আর অন্তরের আকুলতা অত্যন্ত বাস্তব হয়ে ধরা পড়ে। মাঠের গান, বাটের গান, লোকগান বাংলা মানুষের আপন সংস্কৃতি। এতে রয়েছে পল্লী মানুষের সহজ-সরল ভাবের প্রকাশ। এতে শাস্ত্রীয় সংগীতের জটিলতা নেই। সুরের বক্রতা নেই। আছে শুধু সহজ-সরল অনুভূতি আর আবেদন। তাই লোকসংগীত বাংলার মানুষের প্রাণ। এ সঙ্গীত চিরায়ত। এতে আছে মাটির কাছাকাছি মানুষের প্রাণের ছোঁয়া। তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, বিরহ-বেদনার কাহিনী এ সঙ্গীতের মূল বিষয়বস্তু। গ্রাম্য জীবন, প্রকৃতি আর পল্লী মানুষের মনের কথা- এই তিনের মিলনে নির্মিত এই গান। এই গান সৃষ্টির মূলে রয়েছে কৃষক, জেলে, মাঝি, তাঁতী, কুমোর ও কামারের মতো গ্রাম্য মানুষের প্রাণের আর্তি আর হূদয়ের ভাষা। এ গানে কোনো কৃত্রিমতা নেই, কোনো কষ্ট-কল্পনা নেই। বৈশাখী গানের ভেতরও রয়েছে গ্রাম্য সমাজের একটা নিবিড় সম্পর্ক। তাই এই গান বিষয়, ভাব, রস আর সুরের দিক দিয়ে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বাংলা নববর্ষের প্রারম্ভেই দেশবিরোধী সকল অপশক্তিকে পুরোপুরি ধ্বংস করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রতিটি জাতি তার সঠিক দাবি-দাওয়ার উন্মেষ ঘটাবে বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে লালন করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে আর গতিশীল করার শক্তি নিয়ে সামনের পথচলা তাই একটি দেশ ও জাতি পুরাতন সব গ্লানি মুছে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে এবারের বহুল আলোচিত আর সমালোচিত অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে। যেহেতু অকাঙ্ক্ষিত ইস্যু নিয়ে দেশ মাতৃকার ছায়াতলে জড়িত এক একটি বছর। পরিশেষে- বছরের শুরুতে সবাই যেন মনে রাখি আমরা আমাদের সত্ত্বাকে কোনোভাবেই যেন বিসর্জন না দেই। আনন্দ আর উল্লাসে সীমা অতিক্রম করে উগ্রতায় যেন মেতে না উঠি। যা বিপদ ডেকে আনবে, নিজেকে করবে হেয় এমন কিছুই যেন আমরা না করি। আমরা আমাদের অনৈতিক আচরণ ও পশুত্বকে যেন বিদায়ী বছরের সাথেই জলাঞ্জলি দিয়ে দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। এই হোক নতুন বছরে আমাদের সবার প্রতিজ্ঞা।

লেখক : সাংবাদিক ও গবেষক