গওহার নঈম ওয়ারা
অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ০৪:৩৯ পিএম
গওহার নঈম ওয়ারা
অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ০৪:৩৯ পিএম
গাছের কান্না, কথা, ইঙ্গিত, প্রতিবাদের কথা বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণ করেছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু। বলেছিলেন গাছেরাও কথা বলে, তাদেরও অনুভূতি আছে। কিন্তু নদীর জানের (প্রাণের) কোনো স্বীকৃতি ছিল না। কবি জীবনানন্দ দাশের আগে কি কেউ কান পেতে মন দিয়ে নদীর কথা শুনেছিল এদেশে? নদীকে গান কবিতা গজল গীত শোনানোর কবির অভাব ছিল না কোনো কালে। শুধু তারা খোঁজ রাখেননি নদীর মনের। তার কান্না, ক্ষোভ, ক্ষুব্ধতা, ক্ষুধা, দীর্ঘশ্বাসের হিসাব কেউ কষেনি। কেউ দেখতে পায়নি নদী যেখানে ......
মুখে মুখে বা দলিলে নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে নদী রক্ষা করা যাবে না । আইন লাগবে, লাগবে জনগণের সম্পৃৃক্ততা। মানতে হবে নদী মানে শুধু একটা জলধারা নয়। নদীর অববাহিকা, নদীর গতিবিধি, পলি জমার পরিমাণ, জোয়ার-ভাটার প্রভাব, নদীর দুই পাড়ের মাটির গুণাবলি, নদীর পানিতে বেঁচে থাকা নানান প্রাণী- এ সব কিছু নিয়েই নদী। এদের সকলের স্বার্থ আর চাহিদা বিবেচনা করেই এক সার্বিক আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে নদী রক্ষায়। মনে রাখতে হবে নদী নেই তো দেশ নেই
‘’...... পৃথিবীর মানুষের মতো ক্ষুব্ধ হয়ে
কথা কয়,- আকাঙ্ক্ষার আলোড়নে চলিতেছে বয়ে
হেমন্তের নদী,- ঢেউ ক্ষুধিতের মতো এক সুরে
হতাশ প্রাণের মতো অন্ধকারে ফেলিছে নিশ্বাস’’-
বলতে বাধা নেই নদীর এই অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা সাধ্য ইচ্ছা কোনোটাই কারও কখনো ছিল না, এখনো নেই। চাপে পড়ে আইন-আদালত নদীর জানপ্রাণের কথা স্বীকার করে রায় দিয়েছে। জীবনানন্দের বয়ানের বহু বছর পরে, মাত্র ২০১৯ সালে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত টঙ্গীতে বহমান তুরাগসহ দেশের সব নদীকে ‘লিভিং এনটিটি’ বা ‘জীবন্ত সত্তা’ হিসেবে ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের নদীগুলোর মানুষ বা অন্য প্রাণীর মতোই আইনি অধিকার মেনে নেয়া হয়। আদালতের রায় অনুযায়ী নদীগুলো এখন ‘জুরিসটিক পারসন’ বা ‘লিগ্যাল পারসন’। এর মধ্য দিয়ে মানুষের মতো নদীরও মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। সুতরাং নদীকে হত্যা করার অর্থ হলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হত্যা করা। নদীদূষণ এবং দখলকারী মানবজাতির হত্যাকারী। নদীদূষণ এবং দখলকারী সভ্যতা হত্যাকারী। আদালত স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের সব নদীই মূল্যবান এবং সংবিধান, বিধিবদ্ধ আইন ও পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদ দ্বারা সংরক্ষিত।
‘জীবন্ত সত্তা’ ধারণা এলো কোথা থেকে?
আমাদের কাছে কম পরিচিত ল্যাটিন আমেরিকার গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ কলম্বিয়ার জীবনানন্দরা তাদের প্রিয় নদীর ওপর নির্যাতন ঠেকাতে আন্দোলন গড়ে তোলে। দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান নদী এট্রাটো আশপাশের অবৈধ কয়লা আর সোনার খনির বর্জ্য নদীটিকে বিষাক্ত করে তুলেছিল। পশ্চিম আন্দিজ পর্বতশ্রেণির প্রায় ১২ হাজার ৮০০ ফুট উঁচু থেকে নেমে এসে এট্রাটো পানামার কাছাকাছি ক্যারিবিয়ান সাগরে গিয়ে মিশেছে। তার আগে বিখ্যাত বনভূমি ‘চক কোর’ জঙ্গলে সে সাপের মতো এঁকেবেঁকে তার পথ বের করে নিয়েছে। এই পথযাত্রায় তার সাথে মিশেছে প্রায় ১৫টি ছোট-বড় নদী আর নানা আকারের ৩০০টির মতো স্রোতধারা। একসময় এট্রাটো জল ছিল স্ফটিক স্বচ্ছ, মাছ আর নানা জলজ প্রাণীর স্বর্গরাজ্য। পরে হয়ে যায় কলম্বিয়ার অন্যতম দূষিত নদী। খনি দস্যুদের নির্যাতনে মরতে বসে এট্রাটো। নদী অববাহিকায় আর ‘চক কোর’ জঙ্গলে হাজার বছর ধরে বসবাসকারী সেখানকার আদিবাসী সমপ্রদায় ও অন্যদের জীবন-জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। দূষিত নদীর জল বনভূমির জন্যও হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে দেশের জীবনানন্দরা একদা স্বচ্ছ সলিলা নদীর কান্না শুনে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। নদীর বন্ধুরা এককাট্টা হয়ে অনেক দৌড়ঝাঁপের পর মাত্র ২০১৭ সালে দেশটির সাংবিধানিক আদালত নদীটিকে জীবন্ত সত্তার স্বীকৃতি দেয়।
প্রায় একই সময়ে (১৫ মার্চ ২০১৭) নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট সেদেশের উত্তর দ্বীপের নদী ওয়াঙ্গানুইকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটা বিলটি পাস করে। নিউজিল্যান্ডের এই নদীকে সেখানকার আদিবাসীরা খুবই পবিত্র মনে করে ও একে ঘিরে নানা উপাসনা করে আদিবাসী ‘মাউরিরা’। মাউরিরা নিউজিল্যান্ডের এই তৃতীয় বৃহত্তম নদীকে ডাকে ‘তে আউয়া তুপুয়া’ বলে। এই নামের মধ্যে এক আধ্যাত্মিকতার গন্ধ পাওয়া যায়। মাউরিদের নদী রক্ষার এই আন্দোলন নদীকে নদীর মতো থাকতে দেয়ার দাবি কিন্তু অনেক পুরনো। যারা নদী দেবতার পবিত্রতা আর ‘সতীত্ব’ রক্ষার আইনি আন্দোলন শুরু করেছিলেন ১৮৭০ সালে তাদের কেউই এখন আর বেঁচে নেই। কিন্তু নদীকে ভালোবেসে আন্দোলনটা টিকিয়ে রেখেছিল পরবর্তী প্রজন্ম। দেশের পার্লামেন্ট নদীর জীবন্ত সত্তা মেনে নেয়ার পাশাপাশি সরকারকে কাফফারা বা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়। সুদীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের খরচ হিসেবে বাদী আদিবাসীরা পাবে ৮০ মিলিয়ন নিউজিল্যান্ড ডলার। আর নদীর স্বাস্থ্য ফেরানোর জন্য ব্যয় করা হবে আরও ৩০ মিলিয়ান নিউজিল্যান্ড ডলার।
প্রতিবেশী দেশের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য প্রথমে গঙ্গা ও যমুনাকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করলেও পরে উচ্চ আদালতে সেটা স্থগিত করে দেয়। মামলা চলছে। আবার সেই দেশের মধ্যপ্রদেশের রাজ্য আদালত নর্মদা নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে। পানীয়জলের জন্য নদীটির ওপর রাজ্যের নির্ভরশীলতার কথা মাথায় রেখে বোধকরি আদালতের এই সিদ্ধান্ত। নদী কথাটাও আদালতকে ভাবতে হবে।
আমি তো নদীর এমপি না, তাই আমার কথা কেউ শোনে না মুন্সীগঞ্জের এক সংসদ সদস্য বেশ ক্ষোভের সাথে বলেছিলেন কথাগুলো এ বছরের ৪ জুন। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা মানচিত্র থেকে ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর করুণ কান্নাকে পাত্তা না দেয়ায় এখন সেটা নদীতীরের মানুষদের জন্যই কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জানি বাংলাদেশের মূলত নদনদী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দখল/দূষণ আর নির্বিচারে বালি উত্তোলনের কারণে। কথিত এমপি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জানিয়ে দিয়েছেন ‘নৌমন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কেউ কোনো ভূমিকা পালন করছে না। আমি তাদের বারবার ফোন করে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।’ তারপর তিনি ডাক দিয়েছেন ‘যার যা আছে’ তাই নিয়ে নদী রক্ষায় ‘শত্রুর মোকাবিলা’ করার। বলেছেন ‘পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন ও বড় আকারে বাল্কহেড চলাচল নদী ভাঙনের প্রধান কারণ। লৌহজংবাসীর ভিটেমাটি রক্ষার আন্দোলনে সর্বদা আমি পাশে আছি। লৌহজংয়ের মানচিত্র রক্ষার লড়াই সকলে মিলে করতে হবে। আপনারা সবাই মিলে বালু কাটার বিরুদ্ধে সরাসরি নদীতে অভিযানে যাবেন। তবে খালি হাতে নয়, বালুখোরদের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন।’ এ তো রীতিমতো যুদ্ধের ডাক। নদীর পক্ষের মানুষরা নদীখেকো রাক্ষসদের কাছে কতটা অসহায় তা এমপির ডাক থেকেই বোঝা যায়। অন্যভাবে বলতে গেলে তিনি সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পাইক বরকন্দাজ আইন প্রশাসন কিছুই পাবে না তোমাদের নদী তোমাদের সামলাতে হবে।
অসহায় নদী রক্ষা কমিশনও অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ৫ আগস্ট, ২০১৪ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠিত হয়। নদনদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার, নদীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, নৌপরিবহনযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলে কমিশন গঠিত হয়। এত বড় ম্যানডেট থাকা সত্ত্বেও নদী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে বলতে বাধ্য হয়েছেন ‘মেঘনায় আগে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। যাদের নেতৃত্বে এই কাজ বন্ধ করা হয়েছে, তাদের পরে পানিশমেন্ট হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। স্ট্যান্ডরিলিজ দেয়া হয়েছ। আবার সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। আর এখানে ভূমিকা রয়েছে একজন নারী মন্ত্রীর। বাংলাদেশের নদীগুলো হায়েনারা দখল করে ফেলছে। গত বছর এই হায়েনারা ৬৬৮ কোটি সিআরটি বালু চুরি করেছে। যা টাকায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। এই হায়েনার দল থেকে নদীকে বাঁচানো যাচ্ছে না। এই হায়েনার দলের পেছনে আছে রাজনৈতিক শক্তি।’ নদী রক্ষা কমিশনের সত্যবাদী চেয়ারম্যানের শেষরক্ষা হবে কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তিনি এখন সুতায় ঝুলছেন আর নদীগুলো ক্রমশ সুতা চিকন হয়ে নালায় পরিণত হচ্ছে।
খুলনা অঞ্চলের ভৈরব খর্নিয়া ময়ূর নবগঙ্গা চিত্রা সবই এখন সাবেক। খুলনা শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভৈরব-রূপসা নদীর ২২ কিলোমিটার জায়গায় পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। খুলনা থেকে আগে সক্রিয় নৌপথ ছিল ২৯টি। নদী মরে যাওয়ায় সেই পথ কমতে কমতে এখন মাত্র চারটিতে ঠেকেছে। এই অঞ্চলের প্রধান নদী ভৈরবের দৈর্ঘ্য হবে ২৪৮ কিলোমিটার। স্থানীয় অধিবাসী ও নদী সম্পর্কিত বই থেকে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে নদীটি দুটি প্রবাহে ভাগ হয়েছে। একটি ইছামতি নামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। আরেকটি শাখা ভৈরব নামে জীবননগর, মহেশপুর, কোটচাঁদপুর হয়ে যশোর অভিমুখী হয়েছে। এর মধ্যে দর্শনা থেকে নিমতলা ফাঁড়ি পর্যন্ত ভৈরব নদ একেবারেই নাই হয়ে গেছে।
শুকিয়ে শুকিয়ে এখন এমনি হাল হয়েছে যে সেখানে যে একসময় নদী ছিল তা বোঝার উপায় নেই। যশোরের চৌগাছার তাহিরপুর এসে ভৈরব দুটি ভাগে ভাগ হয়েছে। একটি কপোতাক্ষ নামে সোজা দক্ষিণমুখী প্রবাহ; অন্যটি ভৈরব নামে যশোর-খুলনামুখী হয়েছে। যশোরের বারোবাজার ও শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটি প্রায় শুকিয়ে গেছে। শহরের অংশে শুকিয়ে যাওয়া ভৈরব নদ খনন করায় খালের চেহারা নিয়েছে।
নওয়াপাড়া এলাকায় নদীর দুই কূলের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকা হাপিশ হয়ে গেছে। গড়ে উঠছে ভবন, গোডাউনসহ নানা প্রতিষ্ঠান। কেউ কেউ নদীর মধ্যে চলে এসেছে তাদের স্থাপনা নিয়ে। এখানকার জুটমিল ও ট্যানারির প্রয়োজনে নদী দিয়ে কম করে দিনে ২০-২৫টি পণ্যবাহী কার্গো ও বার্জ যাতায়াত করে। কিন্তু জোয়ারের সময় ছাড়া চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। নদী কমিশনের তাগিদে খুলনা জেলা প্রশাসন নদী দখলদারদের তালিকা তৈরি করেছে। ভৈরব নদের মজুদখালী ত্রিমোহনা থেকে রূপসা নদীর লবণচরা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারের দুই পাড়েই ইতোমধ্যেই দখলদারদের পেটে চলে গেছে। এ ছবি দেশের সর্বত্র। যেখানেই নদী সেখানেই দখলদার। অনেক জায়গায় কাগজপত্রেই নদীকে উধাও করে দেয়া হয়েছে। এখন আমরা নেমেছি নদীর সংজ্ঞা আর তালিকা প্রণয়নে। বলে রাখা ভালো পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নদীর যে তালিকা একসময় দিয়েছিল সেই তালিকার সঙ্গে বেসরকারি সংস্থার নদীর তালিকার সামঞ্জস্যের চাইতে অসামঞ্জস্য ছিল বেশি। তাই আদালত বলেছিল সব সংস্থাকে মিলে নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে হবে। নদী রক্ষা কমিশন ডিসিদের থেকে নদীর তালিকা এনে কাজটি সারতে চেয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে এই তালিকাটাও সম্পূর্ণ নয়, সঠিকও নয়। এখানে একক কোনো সংস্থার উদ্যোগে নয়, বরং সরকারি-বেসরকারি সংস্থা মিলে একযোগে পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে হবে।
মুখে মুখে বা দলিলে নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে নদী রক্ষা করা যাবে না । আইন লাগবে, লাগবে জনগণের সম্পৃৃক্ততা। মানতে হবে নদী মানে শুধু একটা জলধারা নয়। নদীর অববাহিকা, নদীর গতিবিধি, পলি জমার পরিমাণ, জোয়ার-ভাটার প্রভাব, নদীর দুই পাড়ের মাটির গুণাবলি, নদীর পানিতে বেঁচে থাকা নানান প্রাণী- এ সব কিছু নিয়েই নদী। এদের সকলের স্বার্থ আর চাহিদা বিবেচনা করেই এক সার্বিক আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে নদী রক্ষায়। মনে রাখতে হবে নদী নেই তো দেশ নেই।
লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক