মো. নাঈমুল হক
জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ১২:০১ পিএম
মো. নাঈমুল হক
জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ১২:০১ পিএম
প্রিয় বন্ধু! কেমন আছো? জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে তোমরা। এ পরীক্ষার ফলাফল তোমার সারা জীবন কাজে লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরির পরীক্ষায় তোমাদের এসএসসির ফলাফল দেখাতে হবে। আগামী মাসের ১৫ তারিখ এসএসসি বা দাখিল সমমানের পরীক্ষা। এ মুহূর্তে তোমাদের স্কুল বা মাদরাসাও বন্ধ। বাড়িতে পড়াশোনা ও পরীক্ষার চিন্তায় ব্যস্ত সময় পার করছো। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কীভাবে নিবে?
সুস্থ থাকতে হবে: শেষ মুহূর্তে সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য অনিয়ম করে অসুস্থ হওয়া যাবে না। অসুস্থতা পরীক্ষায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়মিত ঘুম, রাত না জাগা, বেশি করে পানি পান করা, সুষম খাদ্য ও পুষ্টিকর ফল গ্রহণ করা অপরিহার্য। সর্বোপরি নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া।
টেনশন বা হতাশ নয়: হতাশা খুবই খারাপ জিনিস। এটা তোমাকে ভালো কোন চিন্তা দিবে না। তোমাকে সর্বদা পেছনে দিকে নিয়ে যাবে। মন থেকে হতাশা, নেতিবাচকতা, দুশ্চিন্তা দূর করে দাও। সব সময় ইতিবাচক মনোভাব রাখবে।
নতুন করে পড়ার চাইতে রিভিশনে মনোযোগী হও: গত ২ বছরে অনেক পড়া পড়েছো। অনেক পরীক্ষা দিয়েছো। সেই পড়াগুলো রিভিশনে মনোযোগী হও। সিলেবাস বাকি থাকলে সেগুলো পড়বে। তবে আগে রিভিশন দাও এরপর নতুন পড়া পড়ো। তাহলে গোছালো প্রস্তুতি হবে।
ডিভাইসে থেকে দূরে থাকো: ডিভাইস খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করবে। মোবাইল ব্যবহারের আগে কয়েকবার ভাববে, এটা তোমার জন্য জরুরি কিনা। বন্ধুদের সঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যোগাযোগ থেকে বিরত থাকো। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই। মোবাইল তোমার মনোযোগকে ধ্বংস করবে। এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরীক্ষায় ভালো করার প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগী হওয়া।
অন্যদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবে না: তুলনা করলে নিজেকে ছোট মনে হয় বা আত্মতৃপ্তি অনুভব হয়। এই মূহুর্তে তোমার এ বিষয়গুলোকে পরিহার করতে হবে। আত্মতৃপ্তিতে ভোগার মতো যেমন কোন কারণ তৈরি হয়নি। একইভাবে ভেঙ্গে পড়ারও কোন কারণ নেই। অন্য বন্ধুদের তুলনায় ভালো পারলে তৃপ্ত না হয়ে নিজের দুর্বলতাগুলো খোঁজ। যদি মনে হয়, তারা অনেক ভালো পারে। তুমি তাদের তুলনায় কিছুই পারো না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন হওয়াটা স্বাভাবিক। তারা হয়তো ওই অধ্যায়গুলো ভালো করে পড়েছে। তুমি হয়তো কম গুরুত্ব দিয়ে পড়েছো। সে জন্য এমন পার্থক্য মনে হচ্ছে। কিন্তু তুমিও পড়া শুরু করো। ওদের মতো, তুমিও পারবে। অন্যরা যা পারে, যা তুমি পারো না। এর কারণ একটা। অন্যরা এই পড়াকে গুরুত্ব দিয়েছে। তুমি কম গুরুত্ব দিয়েছো।
পরীক্ষার নিয়মাবলি দেখে নাও: পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষা বোর্ডের প্রবেশপত্রে বেশ কিছু নিয়মাবলি দেওয়া থাকে। সেগুলো আবশ্যিকভাবে পড়া উচিত এবং তা মেনে চলতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময়, পরীক্ষা চলাকালীন নিয়মকানুন, পরীক্ষার খাতাসংক্রান্ত নিয়ম সম্পর্কে আগে থেকে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। ছোট একটি ভুল অনেক বড় বিপদের কারণ হয়ে যেতে পারে। তাই রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট কোডসহ অন্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করতে হবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
এআরএস