দেলোয়ার জাহিদ
এপ্রিল ৭, ২০২৪, ১০:২১ এএম
দেলোয়ার জাহিদ
এপ্রিল ৭, ২০২৪, ১০:২১ এএম
৭ই এপ্রিলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস চিহ্নিত করে, এ উপলক্ষ্য বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যাপিত হয়। বাংলাদেশে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে মিলে এই দিবসটি পালনে অসংখ্য উদ্যোগ ও কর্মসূচির পরিকল্পনা করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দ্বারা নির্ধারিত উদ্দেশ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, বাংলাদেশে এ বছরের থিম হল ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা অধিকার নিশ্চিত করা: একসাথে কাজ করা’। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং সমস্ত নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার উপর ফোকাস করা ।
দিবসটির জন্য পরিকল্পনা করা ইভেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে সেমিনার, প্রকাশনা, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় সংবাদপত্রে লিফলেট বিতরণ, গ্রামীণ এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ফিল্ম স্ক্রিনিং এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা সরকারি ও বেসরকারি উভয় সংস্থার দ্বারা আয়োজিত।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উভয়েই স্বাস্থ্যসেবা সেবার উন্নতি এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিষ্ঠা ১৯৪৮ সালে যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছিল। তারপর থেকে, বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি তুলে ধরার জন্য এটি প্রতি বছর পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে, এই দিনটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তাৎপর্য বহন করে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা খাতে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, স্বাস্থ্যবিধির অভাব এবং জবাবদিহিতার সমস্যা। থিম ‘স্বাস্থ্যসেবা অধিকার নিশ্চিত করা: একসাথে কাজ করা’ বাধাগুলি সনাক্তকরণ এবং সমন্বিত সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলির জন্য ব্যাপক পরিকল্পনার বিকাশের উপর জোর দেয়। দেশের অগ্রগতির জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ:
স্বাস্থ্যসেবা চ্যালেঞ্জ: অগ্রগতি সত্ত্বেও, বাংলাদেশ দুর্নীতি এবং অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনের মতো চ্যালেঞ্জের সাথে মোকাবিলা করে চলেছে, যা স্বাস্থ্যসেবার সর্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে।
সরকারি উদ্যোগ: সরকার, বিভিন্ন সংস্থার সাথে, অবকাঠামোর উন্নতি, জনস্বাস্থ্য শিক্ষার প্রচার এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
সহযোগিতা এবং জবাবদিহিতা: থিমটি স্বাস্থ্যসেবা অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং জবাবদিহিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। এটি স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেসের বাধাগুলি অতিক্রম করতে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
স্মার্ট হেলথ কেয়ার সলিউশন:
স্মার্ট হেলথ কেয়ার সলিউশনের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকাকে ও স্বীকৃতি নির্দেশ করে।
উপসংহারে, যদিও বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেসের উন্নতিতে অগ্রগতি অর্জন করেছে, এখনও অনেক কাজ করা বাকি আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের থিমটি বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং সমস্ত নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যসেবা অধিকার নিশ্চিত করতে সম্মিলিত পদক্ষেপ এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতির গুরুত্বকে বোঝায়।
লেখক: আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা স্টেপ টু হিউম্যানিটি অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক।
বিআরইউ