Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

এমন আল্ট্রা মডার্ন কী খুব প্রয়োজন

মো. তানজিমুল ইসলাম

মো. তানজিমুল ইসলাম

জুলাই ৯, ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম


এমন আল্ট্রা মডার্ন কী খুব প্রয়োজন

গত শতাব্দীর শেষের দিকেও এদশের গ্রামগুলো ঠিক ততটা উন্নত ছিলো না। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অর্থনীতিতে প্রায় পুরোপুরি শহরের প্রতি নির্ভরশীল ছিলাম আমরা। একটা ভালো পোষাক কিনতে, শিক্ষা অর্জনের জন্য, সুচিকিৎসার জন্য এমনকি ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের জন্যেও তখন শহরের বিকল্প ছিলনা বললেই চলে। কিন্তু এই শতাব্দীর দুই যুগ পেরিয়ে সে কী এক বিশাল পরিবর্তন! একটা সময় ছিলো, দৈনন্দিন বাজার করতে পায়ে হেঁটে যেতে হতো মাইলের পরে মাইল! সরাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থাৎ যানবাহন আর রাস্তাঘাট যাই বলুন না কোনোটাই তেমন সন্তোষজনক ছিল না। কালক্রমে দুম করেই যেন আমূল পরিবর্তন হয়ে গেল সব কিছু! আমাদের ছেলেবেলায় ‘গ্রাম’ বাংলা বলতে যে ছবিটি চোখে ভাসতো তা হলো- অন্তত: প্রতিটি বাড়িতে একটি বাইসাকেল, জমি চাষাবাদের জন্য নিদেন পক্ষে এক জোড়া হালের গরু বা মহিষ; এছাড়া জনগণসহ পণ্য সামগ্রী স্থানান্তরিত করতে গরু বা মহিষের গাড়ীর প্রতি নির্ভরশীলতার সংখ্যাটি একেবারেই কম ছিলো না। খুব কম সংখ্যক মানুষের মোটর বাইক ছিল সে সময় । রাখালেরা দল বেঁধে বাঁশিতে কী মোহিনী সুর তুলতো! গবাদী পশুদের সাথে তাদের নিখাাঁদ সখ্যতাটাও যেন চোখে পড়ার মতো ছিল! তখনো প্রতিটি গ্রামে ইলেক্ট্রিসিটি নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। 

কালে-ভদ্রে দু-একটি রঙিন টেলিভিশন চোখে পড়তো! আকাশ সংস্কৃতির বিষয়টি ছিল কেবল শহুরে সভ্যতার অংশবিশেষ! অর্থনৈতিক অভাবের মধ্যেও গাঁয়ের ছেলেমেয়েদের হৈচৈ করে করে বেড়ানো ছিল নিত্য ঘটনা! দল বেঁধে ধূলো উড়িয়ে স্কুলে গমন, গাঁয়ের মেঠোপথ ধরে শস্যক্ষেতের মাঝে প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে পারা কিংবা বিকেলবেলায় স্কুল মাঠে হরেক রকম আনন্দ! এসবই যেন গ্রামীণ চিত্র! বাবার সাথে বাইসাইকেলের লোহার রডে চেপে গাঁয়ের ভাঙা রাস্তা পেরিয়ে হাটে যেত! কত সহজেই কেরোসিনের উটকো গন্ধ আর হারিকেনের আলোয় নিজেকে মানিয়ে নিত তখনকার শিশুরা! সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই টিউবওয়েল কিংবা কুয়ার পানিতে হাত-মুখ ধুয়েই নিয়মিত পড়াশোনায় মানোনিবেশ করাটা বাধ্যতামূলক ছিল প্রতিটি ছাত্রের জন্য!  দশটা বাজার আগেই রাতের খাবার খেয়ে প্রায় ঘুমিয়ে পড়তো সকলে! মশা-মাছিদের উপদ্রব আর ৪০ ডিগ্রীরও উপরের তাপমাত্রাকে তোয়াক্কা না করেই কী প্রশান্তির ঘুম হতো তখন আমাদের! রোজকার মতো সুবেহ্ সাদিকেই আবারও ঘুম ভেঙে নিজ নিজ পাঠে মনোনিবেশ চলতো! তখনও প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন সকাল! উদীয়মান সূর্যের সাক্ষী সেই কৃষক সমাজ তখন লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে নিয়ে ছুটে যেতেন দূর দিগন্তে! ফসল ফলিয়ে দেশকে বাঁচানোটা ছিল তাঁদের দৃঢ় প্রত্যয়! সীমিত সম্পদ আর সীমাহীন দূর্ভোগকে সাথে নিয়েও প্রায় প্রতিটি পরিবারেই জনসংখ্যার আধিক্যের কথা মনে পড়লে বর্তমানে অবাক লাগে! মজার ব্যপার, কোন না কোন ভাবে পুরো পরিবারের ভরণ পোষনের ব্যবস্থাটা ঠিক হয়েই যেতো! বড় ভাই/ বোনের কাপড় পরিধান করে ছোট ভাই/বোনেরা বেড়ে উঠবে- এটি ছিল যেন একটি অলিখিত নিয়ম! তখনকার পরিবারের সদস্যসরা ছোট্ট একটি ডিমকে দু’ভাগ করে খেতো! 

পুরো সপ্তাহ জুড়ে প্রায় নিরামিষ নির্ভর মানুষদের আত্নাগুলো একটি স্বাদযুক্ত খাবারের অপেক্ষায় থাকতো! কালে-ভদ্রে তাঁরা আমিষের সন্ধান পেত! গ্রাম্য সমাজে রেফিজারেটরের প্রচলন ছিলনা বললেই চলে! তাই মাছ মাংস জমিয়ে রাখার কোন উপায়ও ছিল না। গ্রাম পর্যায়ে নিয়মিত বাজারের প্রচলন না থাকায় মেহমান এলে বাপ-বেটা মিলে শুরু হতো বাড়ির পোষা মুরগী ধরার চেষ্টা! কেউ কেউ নেমে পড়তো পুকুরে, খালে-বিলে, নদীতে! লটারী ভাগ্যের মতো যেসব মাছ পেত, তা নিয়েই খুশি থাকতে হতো; উপস্থিত মেহমানকে লটারীর মাছ অথবা মুরগী যে কোন এক প্রকার আমিষ দিয়েই আপ্যায়ন করা হতো! মেহমানকে আপ্যায়ন শেষে অবশিষ্ট যা থাকতো সেদিকে প্রায় আমিষ বুভুক্ষ মানুষদের চোখ চকচক করে উঠতো! অনেক বেশি প্রকৃতি নির্ভর  হবার কারনেই হয়তো গ্রামবাসীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটাও ছিল বেশি! রোগের বর্ণনা শুনেই গাঁয়ের ডাক্তার অনেকাংশেই রোগ নির্ণয় করতে পারতেন। বড় কোন ডিগ্রী ছাড়া ডক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ নিরাময় হয়ে যাওয়াটা ছিল যেন  সময়ের ব্যপার মাত্র! তখনও গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা সেকেন্ড ডিভিশনে (কমপক্ষে ৪৫% নম্বরপ্রাপ্ত) কিংবা সংখ্যায় কম হলেও ফার্স্ট ডিভিশনে (কমপক্ষে ৬০% নম্বরপ্রাপ্ত) স্কুল-কলেজ পাশ করতো! খুব অবলীলায় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার চান্স পেত; 

আজ যারা পুরো দেশের প্রায় সিংহভাগ সেক্টরের/ বিভাগের ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা! সময়ের প্রয়োজনে আজ অনেকে শহরে পাড়ি জমিয়েছেন। কালের বিবর্তনে নতুন কিছু উদ্ভাবনের নেশায় তাঁরা স্বপ্নবাজ সেজেছেন! স্বার্থের টানেই গাঁয়ের মাটির সোঁদা গন্ধটিও হয়তো তাঁরা ভুলে গ্যাছেন!  তাঁদের শৈশবের আজ অকাল মৃত্যু ঘটেছে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতার কঠিন সময়ে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অর্থনীতি এমনকি সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন ঘটাতেই কিনা স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষেরা আজ বয়সের ভাঁড়ে ন্যুয়ে পড়া অসহায় মা-বাবাকে সেই গাঁয়ে একা ফেলে রেখে বিলাস বহুল শহুরে জীবন যাপন করছেন। আজকের এই  ডিজিটাল যুগে প্রবীন মা-বাবা যেন এক মধূর সমস্যায় পড়েছেন! সেই আমলের তথাকথিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব যেন এযুগের নবীনদের কাছে অনেকটা ফিকে হয়ে গ্যাছে! ডিজটাল ব্যবস্থা এমনকি ইন্টারনেট নির্ভর নতুন প্রজন্মের কাছে ২৫-৩০ বছর আগের এই বাংলার রীতি-নীতি, সংস্কৃতি যেন আদিকালের আদিখ্যেতা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রবীন দাদুদের আশে পাশে আর রাখাল বাঁশিতে সুর তোলে না। আষাঢ়-শ্রাবণের থৈ থৈ জলে ব্যঙের এখন ঘ্যঙর-ঘ্যঙর শব্দও আর কানে লাগেনা; টোপর সাজিয়ে গরুর গাড়িতে কুটুম বাড়িতে যাবার রীতি তো সেই কবে উবে গ্যাছে! ত্রিশ বছর আগে বাড়ি ভর্তি লোকজন আর নেই! উপস্থিত মেহমানদের তথাকথিত লটারীর ভিত্তিতে এখন আর আপ্যায়ন করারও প্রয়োজন পড়ে না! উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রেফ্রিজারেটরে সুসজ্জিত থাকে প্রচুর পরিমাণে মাছ-মাংস, ফলমূল! গাঁয়ের ধূলো উড়িয়ে দামাল ছেলেমেয়েদের গাঁয়ের স্কুলে খুব কমই চোখে পড়ে আজকাল! এখনকার শিশুরা গাঁয়ের হাটে যাবার জন্য বায়নাও ধরেনা! আত্নকেন্দ্রিক ও সুপ্রতিষ্ঠিত জাতির কর্ণধারগণ ক্যারিয়ার গঠনের নেশায় আর সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা পেতেই আজ তাঁরা গাঁয়ের মানুষের কাছে অনেক অচেনা কেউ! নিদেন পক্ষে গাঁয়ের সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য প্রবীন মা-বাবাকেও অর্থ-সম্পদে ভরপুর করে দিয়ে তাঁরা যেন আজকাল স্ত্রী-সন্তানকে সাথে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে! অর্থনৈতিক অভাব মেটালেই বুঝি তৃপ্তির ঢেঁকুর গেলা যায়! এটাই বুঝি শহুরে সভ্যতা? এটাকেই বুঝি আল্ট্রা মডার্ণ বলা হয়! 

ক্রমশ : বাঙালীর ঐতিহ্যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে আজকাল। বাস্তবতার কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত আবেগের মূর্চ্ছনা! নাতি-নাতনীদের ঘুম পাড়ানোর জন্য দাদা-দাদী’দের রুপকথার গল্প শোনানোর কোন প্রয়োজন পড়ে না এখন। ইন্টারনেট নির্ভর শিশুরা রোবটিক লাইফেই যেন বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করছে! আধুনিক মায়েদের প্রত্যাশাটিও অনেকাংশে তাই! শৈশব থেকেই প্রিয় সন্তানদেরকে প্রতিযোগিতার এই যুগে টিকে থাকতে স্কুল, কোচিং, হোম টিউটর এমনকি ইন্টারনেট ভিত্তিক অধ্যয়নে বাধ্য করে তোলে স্বয়ং মা-বাবা! গ্রামের সরকারি স্কুলে যেখানে একটি ক্লাসে ২০-২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী; শহরের যে কোন স্কুলে সেখানে ৩০০-৪০০ জন! হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো কোন এক মোহিনী বাঁশির সুরে মোহিত হয়ে গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে সিংহভাগ শিশুসহ তাঁদের মা-বাবাগণ! তথাকথিত গাঁয়ের ডাক্তারের পরামর্শ যেন বড্ড বেমানান আজকাল! বাহারি পরিবেশনায় আহারের বাড়াবাড়ি; নিদেন পক্ষে মেন্যু লিস্টে আইটেম প্রদর্শনের অলিখিত নিয়মের প্রতিযোগিতা আজ শুরু হয়েছে খুব সচেতনভাবেই! দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তার বাইরেও মন খুলে বাজার করতে, পেট পুরো খেতে ও খাওয়াতে, ভালো স্কুল-কোচিং পেতে, উন্নত চিকিৎসা পেতে, অত্যাধুনিক নাগরিক সুবিধায় জীবনকে উপভোগ করতে শহরের যেন কোন বিকল্পই নেই আজ! অথচ, ডিজিটাল সভ্যতার গ্রামগুলোতেও বলতে গেলে নাগরিক সুবিধার কোন কমতিই নেই; ইন্টারনেটের উন্মত্ততায় ছেঁয়ে গ্যাছে গ্রামীন চারপাশ! গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন ঘটাতে পশ্চাৎপদ গ্রামগুলোতেও অনেক বাজেট বরাদ্দ করেই চলেছে বছরের পরে বছর! তবু কেন ছুটছে মানুষ ইটপাথরের নির্মমতায় গড়ে ওঠা ব্যস্ততম শহরে। কিসের টানে চার দেয়ালে বন্দী করে রাখা হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। কোন অপরাধে নিষ্পাপ শিশুর সুন্দর শৈশবকে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে? আজকের জাতির কর্ণধারগণ কি চুপটি মেরে থাকবেন? নাকি লজ্জায়-অপরাধে নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন চোরের মতো? এযুগের অনেক জ্ঞানী মানুষ তাঁদের শ্রদ্ধাভাজন মা-বাবাকে কেবলমাত্র স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাহাড়া দিতে আর একবারে সেকেলে মানুষ ভেবে সেই গ্রামে এক  প্রকার ফেলে রেখে পুরোদস্তুর শহুরে ভদ্রলোক সেজেছেন! কোন একদিন এমনি করেই তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মও হয়তো  পাড়ি জমাবে অন্য কোন শহরে, দেশ হতে দেশান্তরে! তবু কি আমরা মা-বাবাদের একা ফেলে রেখে শহরের দিকেই ছুটে চলবো।

আল্ট্রা মডার্ণের নিদর্শন স্বরুপ বহুবিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, দম্পতির মধ্যে বয়সের অসম পার্থক্য, নিদেন পক্ষে নিজ সন্তানের বয়সী ছেলেদেরকে ক্ষমতায়নের নিদর্শন স্বরুপ বিয়ে করা আবার অল্প কিছুদিন পরে তাঁকে আবার ছুঁড়ে ফেলা! অন্যদিকে, বুড়ো বয়সে ভীমরতির প্রভাবে ও বিকৃত যৌন লালসার তৃপ্তি পেতে নাতনীর বয়সী কিশোরীদের ‘বিয়ে’ খেলায় বাধ্য করছে অনেক ধণাঢ্য শিক্ষিত পুরুষ! বিবাহিত পুরুষ অথবা নারীদের সম-অধিকারের নিদর্শন স্বরুপ উভয়ের একাধিক বয়ফ্রেন্ড কিংবা গার্লফ্রেন্ড থাকাটাও যেন অলিখিতভাবে স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। আল্ট্রা মডার্ণ দম্পতিদের জন্য এটি একটি বাড়তি স্ট্যাটাসও বহন করে! সময়ের সাথে সাথে তথাকথিত শিক্ষিতের হার বাড়লেও আনুপাতিক হারে মানবিক মূল্যবোধ কি বেড়েছে? বৃদ্ধাশ্রমের বেশির ভাগ মানুষেই কোনো না কোনো শিক্ষিত ও ধণাঢ্য সন্তানের মা-বাবা! বহু বিবাহ, ধর্ষনকারী, মাতাল কিংবা বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই ঘটে শিক্ষিত ও ধনী পরিবারেই! এসবগুলোই কি আল্ট্রা মডার্ণের উপাদান?

আজকাল আধুনিক ও অত্যাধুনিক সমাজের অধিবাসী বলে যারা নিজেকে দাবি করে, তাঁরা যদি আধুনিকতার সঠিক সংজ্ঞাটি জানতো! আর সৃজনশীলতা সেটিতো আদিকালের আদিখ্যেতা ছাড়া আর কিছুই নয়! মৌলিকতাই যার নি:স্ব হয়েছে, সং সেজে তাদেরকি-ইবা হবে? আমাদের অনেকের অন্তরালে একটি কষ্টকাজ করতে পারে, সেটি হলো, আপামরজনতা এখনো কি বুঝবেনা আমাদের কিস্বকীয়তা? সংস্কৃতি অনুযায়ী কেমন হওয়া উচিৎ আমাদের ব্যক্তিত্ববোধ? আর এজন্যই বুঝি এই মডার্ণ বা আল্ট্রা মডার্ণ জেনারেশন নিয়ে এত বিতর্ক? চলতে থাকুক এই নিবিড় আন্দোলন! জয়হোক মানবতার, মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটুক প্রিয় এইজন পদে! আপনাদের, তোমাদের ও তোদের কাছে প্রশ্ন রেখে যেতে চাই আসলেই কি আমাদের দেশে এমন আল্ট্রা মডার্ণ জেনারেশন কি খুব প্রয়োজন ছিল!!!

মো. তানজিমুল ইসলাম

লেখক : লেখক এবং সামাজিক উন্নয়নকর্মী
 

Link copied!