Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা: সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যবসায়িক সুরক্ষা কৌশল

সৈয়দ জাবেদুল আলম

সৈয়দ জাবেদুল আলম

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ১২:৫৭ এএম


ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা: সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যবসায়িক সুরক্ষা কৌশল

বর্তমানে বাংলাদেশের ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম। ইন্টারনেটের সাহায্যে অনেক ক্ষেত্রে উপকৃত হয়ে থাকি। যার মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইনে কেনাকাটা, ব্যাংকিং লেনদেন, বিদ্যুৎ বিল এবং গ্যাস বিল পরিশোধসহ অনলাইনে খাদ্য অর্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকি।

অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকি। দৈনন্দিন জীবনে অনেক ব্যস্ততা মধ্যে অনলাইনে সাহায্যে নিজেদের মূল্যবান সময় বাঁচাতে পারি। আমাদের জীবনযাত্রা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে একমাত্র অনলাইনের কারণে।

কিন্তু অনলাইনে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকলেও বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার শিকার হই এবং আমরা অনলাইনে লেনদেন বা অনলাইন ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হচ্ছি প্রতিনিয়ত।

প্রতারকরা ইমেইল বা মেসেজের মাধ্যমে ভুয়া লিংক পাঠায় যা ক্লিক করলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়। এছাড়া পণ্য বা পরিষেবা প্রতারণা, বিনিয়োগ প্রতারণা, ভুয়া চাকরি ও ফ্রিল্যান্সিং অফার, কার্ড ও ব্যাংকিং প্রতারণা, ভুয়া  লটারির ফাঁদ, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ও প্রতারণাসহ আর ও বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছি প্রতিনিয়ত।

কিছু সংখ্যক প্রতারকদের এসব অপকর্মের জন্য আমরা ইন্টারনেটের ভালো দিকগুলোর প্রতি আস্থা হারাচ্ছি। আমরা যদি এরূপ কোন প্রতারণা শিকার হয়ে থাকি তখন আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে প্রতারকদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে পারি এবং শাস্তি সুনিশ্চিত করতে পারি।

২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থাসনর ফলে সৃষ্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ সরকার বহল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর উদ্যোগ গ্রহণ করে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ১৯ এর উপধারা

১ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত, কোন পণ্য বা সেবা বিপণনের উদ্দেশ্যে স্প্যাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেকট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন, তাহলে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
এছাড়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ২৪ এর উপধারা ১ এ বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যাংক বিমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হইতে কোন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করিয়া আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে যদি ই-ট্রানজেকশন করেন, সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময়, জারিকৃত কোন ই-ট্রানজেকশনকে অবৈধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও ই-ট্রানজেকশন করেন, তাহলে তিনি অনধিক এক বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

তবে অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ প্রতিরোধ করে তুলতে আমাদের উচিত অনলাইনে কোন লেনদেন করার আগে অবশ্যই ভেবে চিন্তে করা।

ভেরিফাইড পেইজ ছাড়া অন্য কোন ফেইক পেজ থেকে পণ্য কেনা থেকে বিরত থেকে। অনলাইনে লোভনীয় লটারির ড্র থেকে দূরে থাকা। এভাবেই অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং টাকা লেনদেন করলে আমরা প্রতারণার হাত থেকে বাঁচবো।

লেখক: শিক্ষার্থী আইন বিভাগ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

ইএইচ

Link copied!