প্রিন্ট সংস্করণ॥ আব্দুল কাদের, ধামরাই
নভেম্বর ১, ২০১৮, ০৬:৪৩ পিএম
ঢাকার অদূরে ধামরাই উপজেলাটি একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করলেও বর্তমানে এই আসনটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। গত নবম জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায় এমনকি গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ দুর্গটি তাদের দখলে রাখেন। তারপর থেকেই একরকম অভিভাবক শূন্যতায় দিশাহারা হয়ে পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলকে গুছিয়ে অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশীই যার যার অবস্থান থেকে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য। তার মধ্যে অন্যতম একজন হলেন তরুণ শিল্পপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। শহীদ জিয়ার আদর্শের একনিষ্ঠ এই তরুণ ও উদিয়মান নেতা বর্তমানে ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছেন। বয়সে তরুণ ও তৃণমূল থেকে উঠে আসায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার ব্যাপক ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নাশকতাসহ গাড়ি পোড়ানোর প্রায় ২৫টি মামলায় ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও পারিবারিবভাবে অনেক নির্যাতনের স্বীকারও হয়েছেন তিনি। তাতেও থেমে নেই এই তরুণ নেতা। ধামরাইয়ের মধ্যকেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত কালাপুরের কৃতী সন্তান হিসেবে এলাকার যার পরিচয় ইতোমধ্যে বেশ খ্যাতি পেয়েছেন। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে যুবদলে আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে অর্জন করে নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির আস্থা ও ভালোবাসা। ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাঠ গুছিয়ে সাংগঠনিকভাবে বিএনপিকে ব্যাপক শক্তিশালী করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দেয়ার বিষয়েও দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন তরুণ নেতা ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে মোকাবিলা করতে শক্তিশালী প্রার্থীর প্রয়োজন। তাছাড়া সাধারণ ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার পরিবেশ গড়ে তুলতেও শক্তিশালী প্রার্থীর কোনো বিকল্প নেই। মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তরুণ নেতা ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, আমি নিজেকে শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে অক্লান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি, তাই রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন মামলায় হয়রানি করা হয়েছে আমাকে ও আমার পরিবারকে। এ ছাড়াও আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়াসহ নানারকম ষড়যন্ত্রমূলক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমি তাতেও বিচলিত নই। যতদিন এই দেহে প্রাণ থাকবে ততদিন শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। মুরাদ সম্পর্কে আরও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতিনিয়তই ধামরাইয়ের বিভিন্নস্থানে গোপনে নেতাকর্মীদের নিয়ে উঠান বৈঠক করে সাংগঠনিক শক্তি আরও জোরদার করা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তিনি।