Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয় ঠেকাতেই তেলের দাম বৃদ্ধি: কৃষিমন্ত্রী

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

আগস্ট ৭, ২০২২, ০৪:২৫ পিএম


শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয় ঠেকাতেই তেলের দাম বৃদ্ধি: কৃষিমন্ত্রী

দেশ যাতে করে শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয়ের মুখোমুখি না পড়ে, সে জন্যই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অস্থিরতা মোকাবিলার জন্য সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে সহনশীল ও স্বস্তির মধ্যে রাখতেই তেলের দাম বাড়াতে সরকার বাধ্য হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরো কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৭ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সিলেট, কুমিল্লাসহ পাহাড়ি অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, তেলে এত ভর্তুকি দিলে আমাদের ফরেন রিজার্ভ অনেক কমে যাবে, তখন সারা জাতি হুমকির মধ্যে পড়বে। তার চেয়ে বর্তমানে সাবধান হওয়া ভালো, সাশ্রয়ী ও কৃচ্ছ্রসাধন করা ভালো। বর্তমানে একটু কষ্ট সাময়িকভাবে মেনে নিয়ে যাতে আমরা সাবধান হই।

দেশটাকে তো আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। সে জন্য সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে, যাতে তেলের ব্যবহার কিছুটা হলেও কমে এবং আমরা যাতে শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয়ে না পড়ে সহনশীল অবস্থায় ও টিকে থাকতে পারি। 

তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়বে কি না―এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‍‍`বিদ্যুতের দাম বাড়েনি, ফলে বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রে কোনো সমস্যা হবে না। 

তবে সার্বিকভাবে কৃষিতে কিছুটা প্রভাব পড়বে। কৃষি উৎপাদন কমবে না, তবে কৃষকের লাভ কমে আসবে। বিশ্বপরিস্থিতির কারণে একটু কষ্ট হলেও, আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে। ‍‍`

মন্ত্রী আরো বলেন, সিলেট ও পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক জমি পতিত থাকে। দেশে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কোনোক্রমেই এসব জমি পতিত রাখা যাবে না। 

পাশাপাশি ধানের উৎপাদন না কমিয়ে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সে জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বিএডিসির চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!