Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪,

নতুন রাজনৈতিক জোট

সাত দল নিয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র আত্মপ্রকাশ

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ৮, ২০২২, ০২:১৬ পিএম


সাত দল নিয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র আত্মপ্রকাশ

‘ফ্যাসিবাদী দুঃসময়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণ সংগ্রাম জোরদার করুন’ স্লোগানকে নিয়ে সাত দলীয় জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নাম নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

সোমবার (৮ আগস্ট) সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। নতুন জোটের ঘোষণা দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

নতুন এ রাজনৈতিক জোটে আছে নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জেএসডি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন এবং গণঅধিকার পরিষদ।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে মঞ্চের আত্মপ্রকাশের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরীয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।

জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ষড়যন্ত্র নয়, প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাবে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী লড়াই-সংগ্রামের বিকল্প নেই।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র রূপরেখা তুলে ধরে ১১ তারিখের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

রূপরেখায় বলা হয় - আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এবং অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে এবং একটি রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ- সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও সরকারের জবাবদিহিতার কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার। একইসাথে ফেডারেল পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় কমিশন গঠন।‍‍`

‍‍`বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, নিম্ন আদালতকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তার পরিচালনা ও তদারকি উচ্চ আদালতের হাতে ন্যস্ত করা, প্রধান বিচারপতিসহ বিচারক নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের’ কথাও বলা হয় জোটের রূপরেখায়।

এছাড়াও, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা; মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতিতে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জীবন ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানস ও অর্থনীতির টেকসই প্রকৃতিবান্ধব ভিত্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল জনগণের জন্য সমান সুযোগের নিশ্চয়তা তৈরি‍‍` বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে।

রূপরেখা উপস্থাপন শেষে ১১ আগস্ট ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে।

 

ইএফ

Link copied!