আগস্ট ১৫, ২০২২, ০৪:২৩ পিএম
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সংকটে নেই। বিশ্ব সংকটে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতা। বিশ্ব সংকটে শেখ হাসিনা এক সাহসী উচ্চারণ।
শেখ হাসিনার জীবনে আর কি সংকট আছে? তিনি বাবা-মা, ভাইবোনসহ আপনজনদের হারিয়েছেন। তার কষ্ট চেপে রেখে প্রতিজ্ঞা করেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে বাংলাদেশে কাঁদতে দেয়নি, মুজিবের নাম উচ্চারণ করতে দেয়নি; সেই বাংলাদেশে আজ মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটিই সবচেয়ে বড় জয়।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস-২০২২ পালন উপলক্ষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা বলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কোন প্রতিবাদ হয়নি! তারা ভুল করছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পুরো বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে যায়, সেটিই প্রতিবাদ। প্রথম প্রতিবাদ হয় টুঙ্গিপাড়ায়।
বুলেটের সামনে প্রতিবাদের মুখে বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ মর্যাদায় দাফন করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে বাংলাদেশে কাঁদতে দেওয়া হয়নি, মুজিবের নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হয়নি; সে বাংলাদেশে আজ মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটিই সবচেয়ে বড় জয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডকে জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বলেছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনা তারা উপস্থাপন করেছিল; দীর্ঘ ৪৭ বছরেও সেটি তারা প্রমাণ করতে পারেনি। সত্য ছাড়া তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ারা মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে নিয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রগতি ও আলোর পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে; অন্যদিকে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা দেশকে উল্টো পথে, দুর্নীতি ও লুটেরার দিকে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণময় সময়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক অগ্রগতি করেছে। ২০০১ সালে নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে না হারালে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদার এবং বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মো. আবুল হোসেন।
আমারসংবাদ/টিএইচ