আগস্ট ২৬, ২০২২, ০৫:৫৮ পিএম
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল বের করে। এসময় ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় এসে বিএনপির মিছিলে হামলা করে মারধর শুরু করে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিবসহ অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে দলটি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর-দোহার বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম খান, মহিলা দলের নেত্রী সেলিনা রিনা, যুবদলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জেমস, যুবদল নেতা মাসুদ রানা, বিএনপি নেতা মামুনসহ বেশ কয়েকজনকে বেদম মারধর করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা কর্মীরা।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এ হামলা করেছে। তবে ছাত্রলীগ বলছে, বিএনপির থেকে তাদের শোকমিছিলে হামলা করে ১০ থেকে ১৫ জনকে আহত করা হয়েছে। এ নিয়ে পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে শুক্রবার ( ২৬ আগস্ট) সকাল থেকে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রীনগর-দোহার বাইপাস এলাকায় জড়ো হন। সকাল ১০টার দিকে তারা মিছিল বের করেন। এ সময় ছাত্রলীগও একটি মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় আসে।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ বিনা উসকানিতে পুলিশের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে ঢাকায় চলে গেছেন।
শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইসলাম বলেন, শোকের মাস উপলক্ষে তারা শ্রীনগর বাইপাস সড়কে শোক মিছিল করছিলেন। তখন বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের মিছিলে অতর্কিত হামলা করেন। ছাত্রলীগ কোনো হামলা করেনি।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে ছাত্রলীগের উদ্দেশে দু-তিনটি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
তখন পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এমনকি দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আমারসংবাদ/টিএইচ