সেপ্টেম্বর ১, ২০২২, ১১:২৪ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। পুলিশ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচানোর অধিকার আছে। বিএনপি আন্দোলনের নামে আক্রমণ করলে পুলিশ তা প্রতিহত করবেই।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি। পুলিশকে বলেছি কিছু না বলার জন্য, তাই বলে পুলিশকে আক্রমণ করলে তারা সেটা প্রতিহত করবেই। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-আন্দোলন করলে কেউ কিছু বলবে না।
তিনি বলেন, পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। পুলিশ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচানোর অধিকার আছে। না কি সেটা নেই?
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কথা মনে হয় তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল মারবে, গুলি করবে সব করবে তাদের কিছু বলা যাবে না। শান্তিপূর্ণভাবে সব করলে কেউ কিছু বলবে না।
এ সময় মিডিয়া কাভারেজ পেতে বিএনপি আন্দোলনে ‘সিচুয়েশন’ তৈরি করছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
সমাপনী বক্তব্যের মাঝে বিরতি দিয়ে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা, বিএনপির সৃষ্টি, জিয়াউর রহমানের আমলে সামরিক বাহিনীতে ক্যু-তে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তথ্য, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
ভিডিও চিত্র দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে এই হলো বিএনপির আমল, এই হলো বিএনপি-জামায়াত জোটের আমল। এরশাদের আমল আর একদিন দেখাব।
এরশাদের আমলে ২৪ জানুয়ারিতে আমার মিছিলের ওপর গুলি, নূর হোসেনকে হত্যা করা। আওয়ামী লীগ সকলের হাতেই নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর কারো প্রতি প্রতিশোধ নিতে যায়নি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করা। তাই আমরা প্রতিশোধ নেওয়ার পথে না যেয়ে আমরা গিয়েছি মানুষের উন্নয়নে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করা। তাই আমরা প্রতিশোধ নেওয়ার পথে না যেয়ে আমরা মানুষের উন্নয়নে আমাদের সবটুকু শক্তি নিয়োগ করেছি। তার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। বিএনপি আমলের চিত্র আপনারা দেখলেন। এরপর বিএনপিকে কী করে সমর্থন জানায়! কী করে তাদের সাথে হাত মেলায় সেটাই প্রশ্ন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির আমলে শেফালি আর তার মা, তাকে আমি টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে আশ্রয় দিয়েছি। ফাহিমা, মহিমা, সিরাজগঞ্জের পূর্ণিমা, ফাতেমা কাকে না নির্যাতন করেছে। কত হাজার নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন ঠিক তেমনিভাবে ধষর্ণের উৎসব শুরু করেছিল ২০০১ সালের নির্বাচনে পর।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে মেয়র নির্বাচনে মোহাম্মদ হানিফ নির্বাচনে জয়ী হলেন, সেই জয়ী হওয়া যেন অপরাধ হয়ে গেল। লালবাগে বিএনপি থেকে ৭ জনকে হত্যা করা হলো। তাদের কাছ থেকে কথা শুনতে হয় যাদের হাতে রক্তের ছাপ। যাদের উত্থানই হয়েছে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। জাতির জনকের পরিবারের সকলকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে যে দলের জন্ম, তাদের কাছ থেকে আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা নিতে হয়।
ইএফ