সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ০৬:০৯ পিএম
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেছেন, হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে আ.লীগকে সংগঠিত করতে হবে। জনগনের পাশে থেকে তাদের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতি করলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি স্বার্থক হবে।
এজন্য পদ পজিশনের জন্য পাগল হওয়া জরুরী নয়। জনগনকে ভালবাসতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছেন। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খাঁন মাসুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পেরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সহ-সভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস কে বাদল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদস্য সালাউদ্দিন বাদল প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা প্রসংশা করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের দূর্দিনের নেতা ছিলেন হাবিবুর রহমান মোল্লা। নিজ নির্বাচনী এলাকাসহ দলীয়ভাবে জনপ্রিয় ছিলেন।
আমরা (আওয়ামী লীগের নেতারা) জেলে থাকা অবস্থায় মোল্লা সাহেব খাবার নিয়ে আসতেন। ডেমরায় আপনারা যারা নেতা হতে চান তারা হাবিবুর রহমান মোল্লাকে দেখেন কিভাবে তিনি রাজনীতি করতেন। মোল্লা ভাই রিকশায় চলতেন, পাজেরো বা বড় বড় গাড়িতে চলতেন না।
তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ মানুষকে ভালবাসতেন। রাজনীতি করা অবস্থায় দেখেছি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল। তবে এখন যারা নেতা হতে চান তারা বড় বড় গাড়ি হাকিয়ে চলার চেষ্টা করছেন যা আওয়ামী লীগ পছন্দ করেনা।
ত্যাগী ও মানুষের ভালবাসার পাত্ররা দাপট দেখায় না বরং দাপট তারাই দেখায় যারা নব্য আওয়ামী লীগে বিভিন্ন পর্যায় থেকে এসেছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের পক্ষে দৌঁড়ানোর জন্য রেডি হয়ে যান এখনি। যেকোন মূল্যে দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।
আর প্রতিটি ওয়ার্ডে শক্তিশালীভাবে কমিটি গঠন করতে হবে। ইউনিট থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ক্লিন ইমেজের নেতাদের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিট ও থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করতে হবে। কোনো ধরনের বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের স্থান দেয়া যাবে না।
মনে রাখবেন, একজন দুর্নীতিবাজকে কমিটিতে রাখবেন, সে ২০ জন দুর্নীতিবাজকে স্থান দিবে। একজন চাঁদাবাজ ২০ জন চাঁদাবাজকে স্থান দিবে।
টিএইচ