Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

দেশের মানুষ কোনো দিন বিএনপিকে গ্রহণ করবে না

হত্যা ক্যু’র রাজনীতি সাংবিধানিকভাবে বন্ধ করেছে শেখ হাসিনা: নানক

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১০, ২০২২, ০৭:৩২ পিএম


হত্যা ক্যু’র রাজনীতি সাংবিধানিকভাবে বন্ধ করেছে শেখ হাসিনা: নানক

‘ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার কথা দেশ চলবে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, এ দেশে হত্যা-ক্যু’র রাজনীতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবিধানিকভাবে চিরদিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন। ষড়যন্ত্রের পথে হেঁটে কোনো লাভ নেই। ষড়যন্ত্র করলে যুবলীগও বসে থাকবে না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এর সমুচিত জবাব দিবে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জেলা যুবলীগের সম্মেলনে তিনি বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে এমন হুশিয়ারি দেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, লম্বা লম্বা কথা বলেন। কত রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদ গেল। জনগণ তো সাড়া দেয় না। লজ্জা করে না? আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দেবেন না। রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কথা বলবেন না। ক্ষমতায় আসার জন্য পথ একটি খোলা রয়েছে সেটি হলো নির্বাচন। ষড়যন্ত্রের পথে হেঁটে কোনো লাভ নেই। জনগণের কাছে আসুন। জনগণের ভোটে অংশগ্রহণ করুন। আগামী জাতীয় নির্বাচন হলো মাপকাঠি-দাড়িপাল্লা। আর কোনো মাপকাঠি নেই।
ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে বিএনপি। সিরিজ বোমা হামলা করে সেদিন জানান দিতে চেয়েছিলÑ দেশ হলো জঙ্গির বাংলাদেশ। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু রক্তের উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। আজ বলতে চাই, মির্জা ফখরুলরা আন্দোলনের নামে লাঠি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করবেন আর এই যুবলীগ কি বসে বসে তামাক খাবে? লাঠিসোটা ছেড়ে গণতন্ত্রের চর্চা করুন। গণতন্ত্র বিএনপির ইতিহাসে নেই। আর এই বাংলার জনগণকে আন্দোলনের নামে আপনারা দিন-তারিখ দিয়ে ভুলিয়ে দেবেন?

তিনি বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। কেন পালিয়ে গেলেন? বাপের বেটা হলে বাংলাদেশে থাকতেন। আইনি মোকাবিলা করতেন। মানিলন্ডারিং করেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছেন। তাই শাস্তি হয়েছে। এ দেশের মানুষকে এসব ভোলাতে চান?

ষড়যন্ত্র রুখে দিতে যুবলীগকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের সাবেক এই চেয়ারম্যান নানক বলেন, এই যুবলীগ সেদিন খালেদা জিয়াকেও ছাড় দেয়নি। সেদিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জালেম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই যুবলীগ সেদিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এই যুবলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান গণতন্ত্র হরণের যে প্রচেষ্টা চলছে তার বিরুদ্ধে এই যুবলীগকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের জন্য দলের সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ ফোরামের এই নেতা।

জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান প্রমুখ।


ইএফ

Link copied!