Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার পার পাবে না: জি এম কাদের

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৯:০৬ পিএম


সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার পার পাবে না: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, যত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হোক সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না।  

তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে ভোটের বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয় কিন্তু সেগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল।

আসলে সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছা নেই। সরকার জানে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার পার পাবে না। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।  

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার কোনো পরিবেশ নেই। সরকার সমর্থকরা জোর করে ভোটকেন্দ্র দখল করছে, বিরোধী পক্ষ নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। জনগণকে সরাসরি নির্বাচনে ভোট দিতে দিচ্ছে না। এটা হল বর্তমান বাস্তবতা।  

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচন বর্জন করলো তখন শুধু জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এমন বাস্তবতায় সরকার সমর্থকরা বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জিততে জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের হুমকি ও হয়রানি শুরু করছে। এভাবেই সরকার সমর্থকরা জোর করে নির্বাচনে জিতছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তৃণমূলের রাজনীতি গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। শাসক শ্রেণি ও তাদের দল রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এটাকেই বলা হয় একনায়কতন্ত্র। স্বৈরশাসন হলে জনগণের কথা মতো দেশ চলে না। এখন দেশের মানুষ স্বৈরশাসনে নিষ্পেষিত।  

তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনীতি কুক্ষিগত করা হয়েছে। আমরা এ পরিস্থতি থেকে উদ্ধার চাই। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে জনগণের অধিকার থাকে না। জনগণের কাছে কারও জবাবদিহিতা থাকে না। এ কারণেই দুর্নীতিতে ছেয়ে যায় দেশ। আর দুর্নীতি বেড়ে গেলে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি হয়।  

জি এম কাদের বলেন, দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার। বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি তৈরি করেছে বিশ হাজার মেগাওয়াট। আমাদের দরকার মাত্র ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এখন উৎপাদন হচ্ছে নয় হাজারের চেয়েও কম। বিদ্যুতের বিভ্রাটের কারণে কৃষিকাজের জন্য মানুষ সেচ দিতে পারছে না এবং রিজার্ভের অভাবে বিদেশ থেকে সার কিনতে পারছে না। এ কারণে আগামী দিনগুলোতে ভয়াবহ রকমের খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।  

জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি যে অত্যাচার করেছে জাতীয় পার্টির ওপর এখন তারা ফিরে পাচ্ছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে পরিত্রাণ চায়।  

এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না। জাতীয় পার্টি আরও বিকশিত হচ্ছে, দেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। তাই জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে সব স্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন ফারুক আহমেদ, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. শাহাদৎ হোসেন, মো. জাকির হোসেন, এমদাদুল হক পলাশ, রফিকউল্ল্যাহ সেলিম, আবুল হোসেন দেওয়ান, ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, শফিক প্রধান, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ।  

এবি

Link copied!