অক্টোবর ২১, ২০২২, ১১:৫১ পিএম
মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। রাতেই দলীয় কার্যালয় ও সমাবেশের আশপাশের এলাকায় খোলা আকাশের নীচে শত শত নেতাকর্মী জড়ো হয়ে অবস্থান নিচ্ছেন। রাত ১১ টার পর থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে আমার সংবাদকে জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয় উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। রাত ১০টাযর দিকে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে শত শত নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন। সেখানেই অনেকে রাত কাটাবেন।
জানা গেছে,বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন। শুক্রবার রাত ৮টার পর থেকে কেডি ঘোষ রোড এলাকায় কানায় কানায় মানুষে পূর্ণ হয়ে যায়। অনেকে রাতে থাকার জন্য মাদুর, বালিসও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
বিএনপি নেতারা জানান, সমাবেশের মঞ্চ তৈরি শেষ হলে নেতাকর্মীরা রাতে সেখানেই অবস্থান করতে পারবে।
শুক্রবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেওয়া শরণখোলা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আলামিন খান জানান, বুধবার রাতে খুলনায় রওনা হন তারা। পথে তাদের ওপর হামলা চালালে অনেকে আহত হন। অনেক পথ ঘুরে তারা খুলনায় পৌঁছেছেন। খবর পেয়েছি অনেকে সাঁতার কেটে পায়ে হেঁটেও এসেছেন ।
সাতক্ষীরা থেকে আসা যুবদল কর্মী সোহরাব হোসেন জানান, বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে অল্প অল্প করে তারা ৬ জন খুলনা এসেছেন। রাতে দলীয় কার্যালয়ের নিচে অথবা সমাবেশস্থলে থাকবেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা জানান, বাস-লঞ্চ বন্ধের পর পথে পথে নেতাকর্মীদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে গণতন্ত্রকামী মানুষের জনস্রোত এখন খুলনামুখী।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই অনেক নেতা-কর্মী বাসে করে খুলনা চলে গেছেন৷ অনেকে শুক্রবার যশোর পর্যন্ত বাসে গিয়ে, সেখান থেকে ট্রেনে করে খুলনা গেছেন৷ বাকিরা শুক্রবার রাতে ও শনিবার বাসে করে যশোর যাবেন৷ পরে সেখান থেকে ছোট যানবাহন ও মোটর সাইকেলে করে খুলনা যাবেন৷ তিনি বলেন, দুর্ভোগ ও কষ্ট করে করে হলেও মাগুরা বিএনপির নেতা-কর্মীরা খুলনার সমাবেশে যোগদান করবেন৷ সরকার শুধু শুধু খুলনার সঙ্গে বাস যোগাযোগ বন্ধ করে তামাশা করেছে৷” পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনেক কর্মীকে আটক করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনসভায় যারা অংশগ্রহন করছে তারা সভায় বিএনপির নয়, সাধারণ মানুষ জনসভায় অংশ নিচ্ছে। আন্দোলনে যখন সাধারণ জনগণ যুক্ত হয় তখন আন্দোলন বেগমান হয়, বিজয় ত্বরাণিত হয়। সমাবেশে জনগণের যে স্রোত সৃষ্টি হয়েছে তা ঠেকানোর শক্তি সরকারের নেই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কি কারণে জনগণকে বাধা দিয়ে খুলনার সমাবেশকে বন্ধ করতে চাচ্ছে সরকার। তার একটাই কারণ, সমাবশে মানুষ যদি বাড়তে থাকে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব হবে না। জনগণের উত্তাল তরঙ্গে তাদের ভেসে যেতে হবে।
ইএফ