অক্টোবর ২২, ২০২২, ১০:০৮ এএম
খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই দলটির নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোনালী ব্যাংক চত্বরের সমাবেশ অভিমুখে রওনা হয়েছেন। আসার পথে তাদেরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নেতারা।
শনিবারের বিএনপির এই সমাবেশের আগে শুক্রবার সকালে থেকেই ৪৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। খুলনার থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রয়েছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে খুলনাগামী বাসও চলাচল করছে না। এই অবস্থায় নেতাকর্মীরা ট্রেনে, ছোট ছোট যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে খুলনায় এসেছেন।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু বলেন, নেতাকর্মীদের আসার পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় পুরনো মামলা গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। তারপরও প্রতিটি জেলা থেকে নেতাকর্মীরা বাধা-বিপত্তি ঠেলে খুলনায় আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই চলে এসেছেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় তারা থাকছেন। কেউ উঠেছেন আত্মীয়-স্বজনের বাসায়, কেউ মেস ও হোটেলে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ শনিবার নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরুর কথা রয়েছে। তবে ভোর ৬টা থেকেই সমাবেশ মঞ্চ থেকে বক্তৃতা চলছে। গণসমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই খুলনা পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আজ সকাল ৬টায় ডাকবাংলো মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। সমাবেশস্থলের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টানানো হয়েছে ১২০টি মাইক। মঞ্চের নিচে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা বক্তব্য রাখছেন।
খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, কোনো প্রতিবন্ধকতাই নেতাকর্মীদের আটকাতে পারবে না। প্রয়োজনে হেঁটে মানুষ সমাবেশে যোগ দেবে।
এআই