নভেম্বর ৪, ২০২২, ০৬:০৭ পিএম
যারা বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করেছিলো তারা এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ৷
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী’ পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
হত্যকারীরা মনে করেছিল বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানের ভূখন্ড হিসেবে চিহ্নিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলখানা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। সে নিরাপদ জায়গায় হত্যার শিকার হয়েছিলেন জাতীয় চারনেতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছিল তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ৩রা নভেম্বর জেলখানায় তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা ৩রা নভেম্বর হত্যাকাণ্ড। মূলত তারা এসব হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল এবং তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করলে কেউ আর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে না। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলবে না। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আবার পাকিস্তানের ভূখন্ড হিসেবে চিহ্নিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, সব ষড়যন্ত্র ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুজিব আদর্শের যারা ছিল তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে। এখন জাতি দাবি করছে যে, এ হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়েছে; কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারিনি। বিচার করতে পারিনি। বাংলাদেশে আমরা যারা আছি আমরা জানতে চাই, আগামি প্রজন্ম জানতে চায়- এত বড় জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের চিহ্নিত হওয়া দরকার। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সাহস না দেখায়। শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বীরের জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল মুষ্টিমেয় ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকাীরা। সেখান থেকে আমরা কখনো বেরিয়ে আসতে পারব না। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। সে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
এবি