নভেম্বর ৪, ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, মানুষ যেভাবে সমাবেশে অংশ নিচ্ছে তা অভ্যুত্থানের মতোই।
মান্না বলেন, সমাবেশের আগে সবকিছু বন্ধ করা হচ্ছে। তবু মানুষ শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে সমাবেশে যাচ্ছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তারা সবাই বিএনপির সমর্থক নয়। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ আছেন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫০তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে ‘সংস্কার কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে সম্ভব’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়। এটি আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
তিনি বলেন, এখন ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারে জনগণ নিষ্পেষিত। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে পীড়িত তারা। এ অবস্থায় যাকে পাচ্ছে, তাকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে জনসাধারণ। কারণ, তাদের বাঁচতে হবে। সবাই মনে করেন, জিনিসের দাম কমা দরকার।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, মানুষকে সংবিধান বুঝিয়ে আন্দোলনে আনা যাবে না। এ মুহূর্তে সংবিধান বদলানো দরকার, তারা সেটা বুঝবে না। অনেকেই জানেন না, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলে। তাই দ্রব্যমূল্য বেশির কথা বলে তাদের আন্দোলনে আনতে হবে। বোঝাতে হবে ওদের অধিকার আদায় হচ্ছে না।
মান্না বলেন, সংবিধানে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সেটা করতে হলে জেনে বুঝে ধীরে এগোয়ে হবে। এই সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে জারের মতো ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই সংবিধানের ধারা সম্পর্কে জানেন না।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৭ ধারা থাকলে এই সরকারের বিরুদ্ধে কোথাও কিছু বলা যাবে না। এটি থাকলে মানুষের অধিকার থাকবে না। তাই মানুষকে সংবিধান সম্পর্কে সহজ করে বলতে হবে। যাতে তারা যেন বুঝতে পারে সংবিধানে পরিবর্তন আনা দরকার।
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কার্যকরী সভাপতি শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এবি