ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম
আগামী ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনমনে একধরণের ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশে চলমান এই দ্বন্দ্ব সংঘাত রাজনীতেতে সুফল বয়ে আনবে না। এই অবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলসহ সব পক্ষতে সহিংসতা পরিহার করা জরুরী।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন) চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম, এ, মুকিত ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ. এন. এম. সিরাজুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যে বিভাগীয় সমাবেশ আহবান করেছে তার দুই দিন আগেই রাস্তা অবরোধ করে পুলিশের উপর হামলা, পুলিশের পাল্টা হামলায় একজন নিহত ও ঢালাওভাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃদ্বয় বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সভা-সমাবেশ করা সাংবিধানিক অধিকার। কোন দলকেই সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সমীচিন নয়। এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ। গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। অপর দিকে ব্যস্ত সড়কে সমাবেশ করে জনভোগান্তি তৈরিও কাম্য হতে পারে না।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন- বিএনপি’র কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ আশপাশের এলাক পুলিশ কর্ডন করে রেখেছে। যেকোন মুহুর্তে আবার সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এই অবস্থায় আমরা মনে করি সবধরনের সহিংসতা পরিহার করে আলোচনার সমাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরী। বিএনপির উচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে মহাসমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা এবং সরকারের উচিত তাদেরকে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করার সুযোগ দিয়ে যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ইএফ