ডিসেম্বর ৯, ২০২২, ০৭:৪৪ পিএম
বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের গণতান্ত্রিক,শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঠেকাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগকে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটাসহ রাস্তায় নামিয়ে সরকার দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় পল্টনে জামান টাওয়ারের নিচে "বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের যৌথ হামলা, অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে" বিক্ষোভ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
নুর বলেন," সরকার খেলার কথা বলে ফাউল খেলছে।এভাবে ফাউল খেললে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদেরকে মাঠ থেকে বের করে দিবে। যুদ্ধেরও একটা নিয়ম থাকে। এ সরকার কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না। বিএনপির মতো একাধিকবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা একটা উদার দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দকেও হয়রানি,লাঞ্ছনা,গ্রেফতার থেকে রেহাই দিচ্ছে না।"
বিএনপির কার্যলয়ে পুলিশের বিস্ফোরণ উদ্ধারের নাটকের সমালোচনা করে নুর অনতিবিলম্বে
বিএনপির মহাসচিব,সিনিয়র নেতৃবৃন্দ,আলেম-ওলামাসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংকট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলোচনার আহ্বান জানান।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন,"হামলা মামলা করে জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানো যাবেনা।নেতারা গ্রেফতার হলে মিছিলের শেষ কর্মী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবে।প্রয়োজনেফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সফল করতে জীবন দিবো,পিছু হঠবো না। আমরা ৯০ এর নুর হোসেন,মিলনের উত্তরসূরী। সরকার জনগণকে ভয় দেখাতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আস্থা থাকলে, এভাবে দলীয় কর্মীদের মাঠে নামাতো না।
তিনি প্রশাসনকে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুজ জাহেরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অবঃ) মিয়া মশিউজ্জামান,আবু হানিফ,মাহফুজুর রহমান,শহিদুল ইসলাম ফাহিম, শাকিলউজ্জামান, যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ, তারেক রহমান,গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব ঈসমাইল,গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা জেলা উত্তরের আহ্বায়ক এডভোকেট শওকত, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মুনজুর মোর্শেদ মামুন,ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান।
ইএফ