ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের দাবি-দাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের (হেফাজতে ইসলামের নেতা) সন্তুষ্ট করেছেন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জানিয়েছেন দাবি-দাওয়ার মধ্যে যেগুলো যৌক্তিক সেগুলো তিনি অবশ্যই দেখবেন, করে দেবেন। আর যেগুলো সময় লাগবে সেগুলো নজরে (সংশ্লিষ্টদের) আনবেন।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে হেফাজতে ইসলামের নেতারা গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তি এবংমামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবির কথা জানিয়েছেন। ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ৬ষ্ঠ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার বিষয়ে একটি প্রশ্ন উঠেছে সেক্ষেত্রে আপনারা কি করছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রথম কথা হলো তার (পিটার হাস) নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি পড়েনি। সেখানে পুলিশ বাহিনী ছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত যেখানে যাচ্ছেন তখন পুলিশ বাহিনীর কর্তব্য হয়ে গেছে সেখানে যেতে।
এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশের পোশাক পড়ার সময়ও পাননি। সিভিল পোশাকেই সেখানে গিয়েছিলেন। কাজেই এখানে তার নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে বলে কোনো রিপোর্ট আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সেখানে যাওয়ার তথ্য ফাঁস সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো আমরা জানি না। আমাদের কাছে তো তথ্য দেয়নি। এখন কীভাবে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তার এখান থেকে হয়েছে কি না আমরা জানি না। আমাদের জানার কথাও না। উনি এখানে যাওয়ার কথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানার কথা। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, আমরাও জানি না।`
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল না। কয়েকদিন আগে রাজধানীর শাহীনবাগে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় গিয়েছিলেন ঢাকায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে একদল লোক তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের বিষয়ে আজকে সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মায়ানমারের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। সেটা নিরুৎসাহিত করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। এটি করা থেকে যাতে বিরত থাকে এবং বাংলাদেশের নেটওর্য়াক ব্যবহার করে সে বিষয়ে কাজ করবে এই কমিটি। এ রকম আরও কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ