Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

রাজনৈতিক ১১ দল নিয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আত্মপ্রকাশ

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৪:০৬ পিএম


রাজনৈতিক ১১ দল নিয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আত্মপ্রকাশ

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আরেকটি নতুন ১১ দলীয় রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। নতুন এই জোটের নাম হলো- ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জোটের ঘোষণা দেন।  এ সময় দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

১১ দলীয় জোটের শরিকরা হলেন- ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), খন্দকার লুৎফর রহমান ও এসএম শাহাদাত হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি ও মো. আকবর হোসেনের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক লীগ, অ্যাডভোকেট গরিবে নেওয়াজ ও সৈয়দ মাহবুব হোসেন নেতৃত্বাধীন পিপলস লীগ, অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিব ও অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট, এমএন শাওন সাদেকী ও দিলীপ কুমার দাস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, নূরুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল, এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী ও আবু সৈয়দ নেতৃত্বাধীন গণদল, অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা আকন্দ নেতৃত্বাধীন ন্যাপ ভাসানী এবং সুকৃতি মন্ডলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি।

নতুন জোটের ঘোষণা দিয়ে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ঘোষণাপত্র পাঠকালে বলেন, ইতোমধ্যে গণআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জ্ঞাপন করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছে।

তিনি বলেন, ভোটারবিহীন একদলীয় আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী শাসন, দুর্নীতিতে আকুণ্ঠ নিমজ্জিত মহাসংকটের একযুগ সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ আজ নিপতিত। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ভয়াবহ বেকারত্ব, কর্মশূন্যতায় দেশের মানুষ দিশেহারা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পটভূমিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় পরায়ণতা ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫১ বছর পরও আজ স্বাধীনতা গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার, ভাতের অধিকার, কর্মের অধিকার, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আজ প্রশাসনিক দুর্বৃত্তের কবলে।

ড. ফরহাদ বলেন, বর্তমান একদলীয় আওয়ামী সরকার তার একক কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে দেশকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন, দুর্নীতি, গুম, হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতা বিরোধী অপরাধের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে মামলা হামলা, গণ গ্রেফতারের মাধ্যমে এক বিভীষিকাময় সংস্কৃতি তৈরী করেছে। উন্নয়নের জিকির তুলে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিক খাত, ব্যাংক, বীমা সেক্টর, কর্পোরেশন, দেশীয় সম্পদ। আওয়ামী লুটেরাদের রাজত্বে পরিণত করেছে।

রাষ্ট্রের সকল সেবা খাত, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্য, হাট বাজার আজ সরকার দলীয় লুটেরাদের হাতে জিম্মি।

সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের সম্ভাবনাময় যুব সমাজকে ধ্বংস করতে তৃণমূল পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ইয়াবা, হেরোইন, মদ, গাজাসহ নানা প্রকার ধ্বংসাত্মক মাদকদ্রব্যে আসক্ত করে রাষ্ট্রের মূলশক্তি যুব সমাজকে পরিবার ও সমাজের সামনে এক অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের সর্বস্তরে সুষ্ঠনের ধারাবাহিকতায় সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দলীয় নেতাদের তত্ত্বাবধানে জুয়া, ক্যাসিনো, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে লুন্ঠিত অর্থ পাচার করে প্রবাসে বেগম পাড়া তৈরী করে আমাদের প্রিয় এই মাতৃভূমিকে এক অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

টিএইচ

Link copied!