ডিসেম্বর ৩১, ২০২২, ০৫:১৯ পিএম
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। তাই তারা সুযোগ পেলেই পাকিস্তান ভালো ছিল বলতে কার্পন্য করে না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। স্বাধীন দেশে এদের রাজনৈতিক কবর রচনা করতে হবে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পেশাজীবীদের সবচেয়ে প্রাচীন প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) উদ্যোগে ইআরসি কনফারেন্স হলে `বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সংবর্ধনা` অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইসব কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্যই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হয়েছিল। এত কিছুর পরও এখনো বাংলাদেশের কিছু মানুষ বলে পাকিস্তানই ভালো ছিল। বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশ ভারত হয়ে যাবে। শান্তিচুক্তি হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের অংশ হয়ে গিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি দুঃশাসনের সময়ে আমাদের সবদিক থেকেই বঞ্চিত করা হয়েছে। পাকিস্তানিদের তিনটি প্রাদেশিক রাজধানী করা হয়েছিল, কিন্ত আমরা কিছুই পাইনি। পূর্ব পাকিস্তানের রেমিট্যান্স ৮০ ভাগ থাকা সত্যেও উন্নয়নের কানাকড়ি পেয়েছি? সাধারণ মানুষের কাছে এখনও সত্য কথা পৌঁছায় না। প্রকৌশলীরা সমাজের বিজ্ঞ ও কারিগর। দেশের সব উন্নয়নের কথাগুলো আপনারাই মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। প্রকৌশলীরা সজাগ থাকলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।
ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সবসময়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস ও চর্চা করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রকৌশলীরা বদ্ধপরিকর।
আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক পিইঞ্জ প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)।
আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল কালাম হাজারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুজ্জামান, মোহাম্মদ হোসাইন, খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, মনজুরুল হক মঞ্জু, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রতীক কুমার ঘোষ, রনক আহসান।
উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানে আইইবির ৪২ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে যাদের মধ্যে তিনজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন।
সংবর্ধনাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, পিইঞ্জ প্রকৌশলী এস. এম. খাবীরুজ্জামান, বীর বিক্রম লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসর) প্রকৌশলী এস.আই.এম. নূর-উন-নবি খান, ড. প্রকৌশলী এম. শাহ আলম, বীর প্রতীক প্রকৌশলী মো. সিদ্দিক উল্লাহ, প্রকৌশলী এ. কে. এম. ইসহাক, প্রকৌশলী সৈয়দ জাহাংগীর কবির, প্রকৌশলী এ কে এম আব্দুর রাজ্জাক, প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম, প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম, প্রকৌশলী মো. শাহ আলম, প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, পিইঞ্জ. প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ, প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা, প্রকৌশলী মো. কবির আহমদ ভূঞা, প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম মিয়া, প্রকৌশলী মো. আকমল হোসেন, প্রকৌশলী মো. আব্দুল আজিম জোয়ার্দার, প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন ভূঞা, প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদ, প্রকৌশলী মুনীর উদ্দীন আহমেদ, প্রকৌশলী মো. সোহরাব উদ্দিন মিয়া, প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক, প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রকৌশলী এস. ও. এম. কলিম উল্যাহ, প্রকৌশলী মো. ওয়ালিউল্লাহ সিকদার, প্রকৌশলী মো. আবদুর রব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম, বীর প্রতীক প্রকৌশলী গোলাম আজাদ, প্রকৌশলী মো. জয়নুল আবেদিন, প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন খান, মো. আমিনুর রহমান লস্কর, প্রকৌশলী মো. সাহের উল্লাহ, প্রকৌশলী মো. আবুল বশর, প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক, প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম, প্রকৌশলী মো. সেলিম খান, প্রকৌশলী এম. এ. মজিদ, প্রকৌশলী আসাদুল হক খান, কর্নেল প্রকৌশলী সৈয়দ আনোয়ার হোসেন (অবসর), প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক, প্রকৌশলী মো. আব্দুল খালেক।
টিএইচ