জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০২:৫৮ পিএম
সরকার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ ও ১৪ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন জোরদারের দাবিতে এবং দ্রব্য মূল্যে বৃদ্ধি, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছোন গণতন্ত্র মঞ্চ এবং আগামী ২৫ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় কর্মসূচি হিসেবে `বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক স্বপন উদ্দীন আগামী দিনের এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ২৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের ধারা আরও শক্তিশালী হবে। এবং এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পতন করে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তৈরি করার লড়াই আরও জোরদার হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের বেঁচে থাকার জায়গা নষ্ট করে দিচ্ছে এই সরকার। এই সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিতে চাই যে, ভূরাজনৈতিক এবং অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে যে সমস্যা তৈরি করছেন, অবিলম্বে এটা বন্ধ করেন।
দুদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নাটক করছে এই দুদক। তারা এবং সরকার একাকার হয়ে গেছে, এরা এই সরকারের সহযোগী। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ সম্পদের মালিক ১০ শতাংশ মানুষ লুটেরা, মাফিয়া সরকারকে সহায়তা করছে।
আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া এই ফ্যাসিবাদী, কতৃত্ববাদী সরকারকে হটানো সম্ভব না। আমাদের ১৪ দফার মূল হচ্ছে এই সরকারকে হটানো। এবং সৈরাচারী, অবৈধ সরকারের পতন করে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে চাই।
এর আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, `বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা ও সরকারের ভুল নীতির কারনে আজকের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে সেটার দায় উনারা জনগণের ঘাড়ে চাপাবেন।`
তিনি বলেন, `ইতিমধ্যে বিএনপিসহ অনান্য সকল রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎ আন্দোলনের ধারায় আছি। আমরা অবিলম্বে একটা নুন্যতম দফা দাবি নামা তৈরি করে এই আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর রূপ তৈরি করবো। এবং গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবো।`
সরকারের দাম কমে যাচ্ছে বলে সব কিছুর দাম তারা বাড়িয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, চুরি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সরকারের ভুল নীতির কারণে আজকে পানি, জ্বালানি তেল, ও গ্যাসের মূল্য বাড়ে। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই আপনাদের এই চুরি দুর্নীতির ও গণবিরোধী নীতির কারণে সাধারণ মানুষ কেন কষ্ট পাবে? আমরা বলেছি এই নীতি আপনারা পরিবর্তন করেন। কিন্তু চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, `রাষ্ট্র সংস্কার না করে অন্য যে কোন সংস্কার মূলত দুর্নীতিকে সহযোগিতা করছে। তাই আমরা দাবি করছি এই সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ ।
টিএইচ