জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। অথচ তাদেরকে ৭২-৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করে কে বাকশাল করতে হয়েছে জিজ্ঞাসা করলেই গায়ে আগুন লেগে যায়। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই, ভোটাধিকার চাই, গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। আজকে যে সংসদ আছে সেটা হলো একদলীয় ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। তাই আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের কে গণতন্ত্র ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা, দেশের মানুষকে বাচাতে চাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটি অসম যুদ্ধ সংগ্রাম করছি। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী। যাদের হাতে রয়েছে রাষ্ট্রশক্তিসহ বন্দুক পিস্তল গ্রেনেড, যা তারা ছুড়ে মারে আর আমাদের নামে মামলা দেয়।
জনগণের উত্তাল তরঙ্গের ঢেউয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন, কিসের ভোট; তোমাদের ভোটও আমরা দেব। কথায় কথায় বলে গণতন্ত্র হবে আমাদের মতো করে। অথচ তাদের গণতন্ত্র তো বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা। স্পষ্ট কথা-বাংলাদেমের মানুষ না খেয়েও হাসে।
তারা গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলতে চায়, মৌলিক অধিকার আদায়ে তাদের কোনো কম্প্রমাইজ নাই। সেই লক্ষ্যে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফার প্রথম দাবি হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে। জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্যে সৃষ্টি করে আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
ঐহিত্যগত সংস্কৃতি জীবনমান মূল্যেবোধ বিরোধী কাযক্রম পাঠ্যপুস্তকে মেনে নিতে পারি না দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন আপনারা কেউ ইস্যু তৈরি করবেন না; আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের বক্তব্যে হচ্ছে অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসংযুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে। ইস্যু তো আমরা তৈরি করছি না, বরং আপনারা (শিক্ষামন্ত্রী) ইস্যু তৈরি করে দিয়েছেন।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী সঞ্চালনায় আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ