ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০২:১২ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল চালু হবে। এরপরই দেখবেন ঢাকার আশপাশ নতুন সাজে সাজবে। উন্নয়ন মাত্র শুরু হয়েছে। এই উন্নয়নে বিরোধী দলের জ্বালা শুরু হয়েছে। কত যে জ্বালা, পদ্মা সেতুর জ্বালা, উড়াল সেতুর জ্বালা।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫৪ দল ভুয়া, ২৭ দফা ভুয়া, ১৪ দল ভুয়া। সব ভুয়া। ডান ও বাম এক কাতারে একাকার। শুরু করেছে বিক্ষোভ দিয়ে, এখন হচ্ছে নীরব পদযাত্রা। পথ হারিয়ে তারা (বিএনপি) এখন পদযাত্রা করছে। ভয় পাচ্ছেন, ভয়ের কিছুই নেই। এই মাটিতে মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার অস্তিত্ব। যত দিন এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতে থাকবে, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। এটাই আজ প্রমাণিত হচ্ছে। কাজেই আপনারা প্রস্তুত থাকেন।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। এ খেলা হবে ষড়যন্ত্র ও জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে। সবাই তৈরি হয়ে যান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এটি নিয়ে দেশের মানুষ এখন অনন্দে মেতে উঠেছে। লুঙ্গি পরে মেট্রোরেলে উঠতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সে কী আকর্ষণ!
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার উড়াল মেট্রো রেলের পর চালু হচ্ছে পাতাল মেট্রোরেল। পাতাল মেট্রোরেলের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমি প্রথমে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনোদিন অস্তিত্ব হারাবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি। আর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ইতিহাসে গণপরিবহনে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প পাতাল মেট্রোরেলের প্রকল্প। পদ্মা সেতুর ব্যয় ছিল একত্রিশ হাজার কোটি টাকা, আর পাতাল রেলের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এই ৫২ হাজার কোটি টাকার প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে জাপান। এই জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
টিএইচ