ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় দুই দলের অনড় অবস্থান দেশের জন্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে বিদেশি প্রতিনিধিরা আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিইসি বলেন, বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে নির্বাচনের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে। সবাইকে নির্বাচনে আনতে সরকারি দলকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা হতে পারে বলেও আশা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই অবস্থানটুকু খুব বিপজ্জনক দেশের জন্য। যদি নির্বাচন এ অনড় অবস্থার কারণে হয় কোনো বড় দল অংশগ্রহণ না করে। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বলব, নির্বাচনের মূল ফলাফলের ওপর এর একটা ঝুঁকি থাকতে পারে। আমরা চাই না ওই ধরনের কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক। সে জন্য সরকারে অধিষ্ঠিত দলের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারাও আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যান বিরোধীদলগুলোকে সঙ্গে নিতে। তারাও যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। পুরো জাতির কাছে নির্বাচনটি যেন গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে এবং বিদেশে সেই স্বীকৃতি যেন লাভ করতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের লিমিটেশনটা বলতে চাই, আমরা সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন করব। বর্তমানে যেটা বহাল আছে। আমারা সেভাবেই নির্বাচন করব। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সকল রাজনৈতিক দল, প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলো যেন অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানাল, মালয়েশিয়া থেকে ইউনাইটেড ন্যাশন ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেরিয়েট্টা এরগুইডো রেফরমাডো, জার্মান থেকে জিবিপি ইন্টারন্যাশনাল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভলকার ইউ. ফ্রেডরিচ ,ভুটান থেকে গ্লোবাল ভিলেজ কানেকশনের চেয়ারম্যান জেকশন দুকপা, ভারত থেকে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের বিশেষ প্রতিনিধি মিসেস স্বপ্না সাহা।
এআরএস