মার্চ ৩, ২০২৩, ০৬:৩৪ পিএম
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য চান ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায়’ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো তার দলের মূল দাবি হওয়া উচিত।
গয়েশ্বর বলেন, ‘এখন আমাদের মুখ্য দাবি হওয়া দরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে এই সরকারকে প্রত্যাহার করার বিষয়টি। এই সরকারকে সরাতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু ও অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা এখন অপরিহার্য।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে এক পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি এবং দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার’ প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
ঢাকা বিভাগের বিএনপি সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এবং বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ‘একজন চেয়ারম্যান বলেছেন, জনগণ থাকবে নিরাপদে ঘরে, ভোট দেবে প্রশাসন, সন্ধ্যায় ফল গণনা করবে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না, ২০১৮ সালের নির্বাচন দেখেছেন, কারা ভোট দিয়েছে? প্রশাসন। প্রশাসন বলতে বুঝায় ডিসি-এসপি পুলিশ ইত্যাদি। কে কত ভোট দিতে পারে। কারণ ভয়, না হয় চাকরি যায়। দেশটা আমার একার নয়, আপনারও নয়। যারা পুলিশে চাকরি করেন, পুলিশে আজীবন চাকরি করবেন না।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ‘এখন আওয়ামী লীগও আরেকটি শান্তি কমিটি করছে। যেদিন আমরা কর্মসূচি করি, সেদিন এই শান্তি কমিটিও কর্মসূচি দেয়।’
এবি