এপ্রিল ১৫, ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম
আওয়ামী লীগ জামাতের সঙ্গে আন্দোলন করলে তা জায়েজ, আর বিএনপি করলে তা অন্যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ২০০১ সালের আগে আমাদের জামাতের সঙ্গে একটা নির্বাচনী জোট ছিল। সেটা ছিল অংকের বিষয়। বিএনপি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ ধর্মবর্ণ উপজাতি বাঙালি সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি গঠন করেছিলেন। তিনি বিশ্বের বুকে সেটাই প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এবং আমরা আজকে সেটা পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের জন্য বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সংবিধান রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যা চাইবে সেভাবে সংবিধান তৈরি করতে করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান কোন বাইবেল নয়। মানুষের কল্যাণের জন্যই সংবিধান সৃষ্টি হয়েছিল এর সংবিধান মারাত্মকভাবে পরিবর্তন করছিল এই আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কি ভুলে গেছে? তারা সংসদের ভিতরে ১১ মিনিটে সংবিধান পরিবর্তন করে বাকশাল কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগ কোনদিন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা।
মঈন খান বলেন, সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ জিয়া মানুষের কাছে ফিরে এসেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করেছিলেন। এ দেশের মানুষ তাকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব দিয়েছিল। তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে মানুষের কল্যাণ করেছেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাস। মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা ক্ষমতার টিকে থাকার জন্য সংবিধান থেকে তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে। এ সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গেছে। তারা মানুষকে হত্যা গুম নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে আছে। দুর্নীতি করে সরকার লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। আজকের সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ কাকে ভোট দিবে। তারা সেটা বুঝে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, মানুষের চাহিদার জন্য, মানুষের আস্থার জন্য সংবিধান একবার কেন প্রয়োজন দশবার পরিবর্তন করতে হবে।
স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া হোসেন ইমনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলের সহ স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ সোহেল প্রমুখ।
এআরএস