Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী তাই নিরবকে নির্যাতন করা হচ্ছে’

মো. মাসুম বিল্লাহ

মে ১২, ২০২৩, ০৬:০৭ পিএম


‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী তাই নিরবকে নির্যাতন করা হচ্ছে’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী তাই নিরবকে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নিরবসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাইফুল আলম নিরবকে কারাগারে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লকাপ করে রেখেছেন, সে বিশুদ্ধ নি:শ্বাস নিতে পারবেনা, সে কারাগারে কারো সাথে কথা বলতে পারবেনা। 

নিরব তো ক্যাসিনো চালায়নি, ওতো সন্ত্রাসি করেনি, সেতো মানুষ হত্যা করেন নি, করোনার নামে কোন ভুয়া হাসপাতাল খোলেনি। করেছে তো সব আপনাদের লোকরা। আজকে সাইফুল আলম নিরবকে কারাগারে ২৪ ঘন্টা লকাপ।

রিজভী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে এলাকায় নির্বাচন করেন, সাইফুল আলম নিরব ও সেই এলাকায় নির্বাচন করেন। কাজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কখনোই চাইবেন না যে সাইফুল আলম নিরব জেল থেকে ছাড়া পাক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খুশী করতেই আইজি প্রিজন সাইফুল আলম নিরবকে এই নির্যাতন এবং জুলুম করছে।’

আমরা কেউ বেলুচিস্তান রাজস্থান থেকে আসিনি । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনিও এ দেশের মানুষ, আমরাও এ দেশের মানুষ । আপনি আপনার এলাকার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দীকে নির্যাতন করছেন এর অর্থ কি? এই নির্যাতন করে আপনি কি আপনার জন্য মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসছেন? এরকম নিষ্ঠুরতা আপনি করতে পারেন না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

অবিলম্বে সাইফুল আলম নিরবের ২৪ ঘন্টার লকাপ থেকে মুক্তি দিতে হবে। এসময় গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কমীদের মুক্তির দাবী জানান তিনি।

আইজি প্রিজনের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, ‘আপনি আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার। আপনি আর কি চান? আপনি প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে চান। দেখুন প্রধানমন্ত্রী, ‘আমি (আইজি প্রিজন) বিএনপির নেতাদের কি ধরণের নির্যাতন করি’। তাহলে আপনার বোধ হয় প্রমোশন হবে।

আপনি প্রমোশনের আশায় কারাগারে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে বিএনপির মহাসচিবসহ জাতীয় নেতাদের কথাবার্তা দেখেন ও শোনেন। এই নিপীড়ন তিনি (আইজি প্রিজন) চালাচ্ছেন। সাইফুল আলম নীরব সেই নিপিড়নের অংশ। কারণ আপনার ভালো পোস্টিং দরকার, পদোন্নতি দরকার।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, স্বচ্ছ নির্বাচন হবে বিদেশে যে যাই বলুক। যেখান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বলছে স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে হবে, সকলের অংশগ্রহনমুলক নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে বিদেশীরা যে যাই বলুক বলাটাই তো রহস্যজনক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাহেব আপনার এই কথা এই ইঙ্গিত বহন করে যে আপনাদের উদ্দেশ্য অশুভ। আপনারা প্রকাশ্যে দিনের আলোতে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়াকে বিশ্বাস করেন না। এটাই আওয়ামীলীগের ঐতিহ্য, আর ঐতিহ্যর মধ্যই তো বাকশাল । বাকশাল মানেই তো সব দল বন্ধ। । এই ঐতিহ্য এই ইতিহাস নিয়েই তো আপনারা আজকে ১৪ বছর জনগনকে কারাগারের মধ্যে ঢুকিয়ে গোটা দেশকে কারাবন্দী করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন।

স্বাধীনতার ঘোষক মহান রাষ্ট্রপতি যিনি বহু দলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। তার নামে একটি মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলাটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। কারন শেখ হাসিনা এবং তার সরকার এখন ডুবু ডুবু অবস্থা। এই ডুবন্ত অবস্থা থেকে বের হতে এবং জনগনকে বিভ্রান্ত করতে । শেখ হাসিনার বিদায়ের ধ্বনি চারদিকে বাজছে। উনি এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য যেনোতেনো চেষ্টা করবেন।’

বর্তমান আওয়ামী শাসন পুরোনো বাকশালেরই পুনর্মুদ্রন মন্তব্য করে সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, নব্যবাকশালী আওয়ামী শাসন যন্ত্রের কাছে এদেশের সংগ্রামী জনগণ কখনো মাথা নত করবে না। জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে যেকোনো সময়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ।

এইচআর

Link copied!