মে ৩০, ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে দেশ সঠিক সময়ে যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ‘স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যুক্ত হয়েছে। এখন সবচাইকে মিলে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনায় পুরো পৃথিবী যখন স্থবির হয়ে যায়, তখনও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। ২০২০ অর্থ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ অন্যতম। করোনা মোকাবিলায়ও বর্তমান সরকারের সফলতা বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এসেছে। তাই সফলতার ধারা অব্যাহত রেখে সবাইকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে গেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোবাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আজ শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার পর পরবর্তী পদক্ষেপ হলো স্মার্ট বাংলাদেশ।
তবে বিশ্বায়নের এ যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ বানাতে গিয়ে মনুষ্যত্ব, মানবিকতা যেন হারিয়ে না যায় সেদিকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাছান বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সালের নির্বাচনের থিম করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। আমার বইয়ের মাধ্যমে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের সম্ভাব্য ইশতিহার উপস্থাপন করেছি। সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে তার একটি চিত্র দেয়ার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমি যখন এই ইশতিহারগুলো তৈরি করি এবং পরে যখন এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া লেখি তখন আমাকে এই প্রেক্ষাপট নিয়ে উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুগুলো নিয়ে স্টাডি করতে হয়েছে। তাদের কর্ম-পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
ড. হাফিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন- স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথে দেশ আরও সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকুল আরেফিন ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুল হক ভূঁইয়া।
আরএস