আগস্ট ১১, ২০২৩, ০৪:৫৮ পিএম
দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে।
পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। তারা সরাসরি গুলি করছে। এই স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন আমরা মানি না। এরা নিশিরাতের ভোটের সরকার গঠন করেছে। তারা অন্যায় আইন আদেশ মানছে। আপনাদের নির্বাচন করার সাংবিধানিক অধিকার নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে গণমিছিলে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদীন, আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, এডভোকেট ফজলুর রহমান, মনিরুল হক চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মীর সরফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশার, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মো. হারুন অর রশিদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আব্দুল খালেক, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, গাজীপুর জেলার ফজলুল হক মিলন, ঢাকা জেলার খন্দকার আবু আশফাক, নিপুন রায় চৌধুরী, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনম সাইফুল ইসলাম, শিবচর উপজেলার ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, মহানগর যুবদলের খন্দকার এনামুল হক এনাম, এম এ গাফ্ফার, রবিউল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের জহির উদ্দিন তুহিন, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের হাজারো নেতাকর্মী। এছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন হতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে বর্তমান ভোট চোর অবৈধ নিশিরাতের সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমাদের দফা এক দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
এরআগে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ষোষিত গণমিছিলে অংশ নিতে রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম ও আশপাশে জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী। এ সময় কারো কারো হাতে ছাতা দেখা যায়। তবে বেলা ১ টার পর থেকে নেতাকর্মী আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মী বাড়তে থাকে। দক্ষিণের বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ-সংগঠনের ব্যানারে অজস্র নেতাকর্মী এসেছে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকেলে পৌনে চারটার দিকে মালিবাগ মোড় অভিমুখে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল শুরু হয়। গণমিছিল উপলক্ষে কমলাপুর ও আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়।
ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের গণমিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আরও আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. জাহিদ হোসেন, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেকে।
এছাড়াও বাড্ডা সুবাস্ত টাওয়ার থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত গণমিছিল করছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এইচআর