সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের অধিকারগুলো কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আজকে জনগণ রাস্তায় নেমে যে আওয়াজ তুলছে আওয়ামী লীগের সে আওয়াজ কেড়ে নেওয়ার শক্তি নেই। আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। যতই চক্রান্ত করুক, কোনো লাভ নেই...।’
শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন। এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ গণমিছিল করে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এই রোদ বৃষ্টির মধ্যে আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এদেশের মানুষ সরকারকে না জানিয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সমস্ত অনৈতিক কাজগুলো করছে। দেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই মুহূর্তে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। সবার মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এক বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেরা আক্রমণ করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাবে। দলের নেতাকর্মীদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বুকে সাহস ও শক্তি নিয়ে ভয়াবহ এই দানব সরকারকে পরাজিত করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই সরকারকে পরাজিত করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার করতে হবে।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আওয়ামী লীগের কেউ নিরাপদে থাকতে পারবে না। আমরা বলতে চাই আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসে দেশের একজন মানুষও নিরাপদে থাকতে পারবে না। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে না। তাই এ আপদ বিদায় করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। খালেদা জিয়া যদি বিদেশে চিকিৎসা না পায়, তাহলে আর কেউ যেন বিদেশে চিকিৎসার জন্য সুযোগ না পায়। আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে গণতন্ত্রের মুক্তি।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরএস