নভেম্বর ৩, ২০২৩, ০৯:১১ পিএম
অক্টোবর মাসে ৭৪টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৭৮ জন। এ ছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির দ্বারা কমপক্ষে ২৭৮৬ জন রাজনৈতিক গ্রেফতারের শিকার হয়। তন্মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ২৭৫০ জন। বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৯৮ মামলায় ২৫৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ২৬৮২ জনকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এর অক্টোবর মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
জানা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এইচআরএসএস এর অনুসন্ধানী ইউনিট ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এইচআরএসএসের অক্টোবর মাসের প্রতিবদন থেকে আরো জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কারা হেফাজতে ০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা বিরোধাীদলীয় কমপক্ষে ৮৩ টি সভা-সমাবেশ আয়োজনে বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তাদের সাথে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৫৮ জন আহত এবং সমাবেশ কেন্দ্রিক ২৩৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া সাংবাদিক নির্যাতন , নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন, পারিবারিক সহিসংতার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অক্টোবরেই ১৯ টি হামলার ঘটনায় ৫৭ জন সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন; যেখানে সিনিয়র সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৪৭ জন, লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে ০৩ জন, হুমকির শিকার হয়েছে ০৩ জন ও গ্রেফতার ০২ জন। একই সময়ে আশঙ্কাজনকভাবে, সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর অধীনে দায়ের করা ৩টি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ১ জন ও অভিযুক্ত হয়েছেন ৪ জন। এটি উদ্বেগজনক যে, এ মাসে “গণপিটুনির” ১১ টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭ জন এবং আহত হয়েছেন ০৯ জন।
১৯৮ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭১ জন, যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে ৩৯ জন (৫৫%) ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। ১২ জন নারী ও কন্যা শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ০৩ জনকে। ৬৮ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন তন্মধ্যে শিশু ৪৬ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ০৯ জন নারী এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ০৩ জন। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ৩২ জন, আহত হয়েছেন ০৫ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন নারী। অন্যদিকে, এটি উদ্বেগজনক যে, ১৬৭ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যাদের মধ্যে ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২৮ জন শিশু শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
আরএস