নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম
দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের গণদাবীকে উপেক্ষা করে আজ সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক একতরফাভাবে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে বলা হয়, দেশবাসী মনে করে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনভাবেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সরকারে অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালের নৈশভোটের নির্বাচন তারই প্রমাণ।
দেশবাসীর দাবী ছিলো দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সরকার গণদাবীকে উপেক্ষা করে বিগত দু’টি নির্বাচনের মত আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আর সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লিপ্ত।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগেই ব্যর্থ হয়েছে। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুর- ৩ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ এর উপনির্বাচনের কারচুপি ঠেকাতে পারেনি ইসি। এ দায় নিয়েই নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ করা উচিত ছিলো।
যারা ছোট ২টি উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে না তাদের দ্বারা কিভাবে ৩০০ আসনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? আজকে ঘোষিত একতরফা নির্বাচনের তপশিলের কারণে দেশের রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত হবে। এর ফলে বিরাজমান সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধি-সহ উদ্ভুত পরিস্থিতির দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।
বৈঠকে দেশ ও জাতির স্বার্থে আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ঘোষিত একতরফা নির্বাচনের তপশিল বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জোর দাবী জানানো হয়।
আজ সন্ধ্যায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদে সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্মমহাসচিব- অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো: জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক প্রমুখ।
এআরএস