নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা রক্ষায় সংঘাতমুক্ত স্বাধীন কাশ্মীর প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র জাতিসংঘই পারে কাশ্মীরীদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে। এজন্য জাতিসংঘের সরাসরি হস্তক্ষেপ জরুরী বলেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসেক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ‘‘কাশ্মীর সংহতি’’ দিবসে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
‘‘কাশ্মীর সংহতি’’ দিবসের প্রতি সংহতি জানাতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
জনাব মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘‘কাশ্মীরিদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। সংবিধারে আর্টিকেল ৩৭০ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারতকে কাশ্মীরি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে ফিলিস্তিনের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে কাশ্মিরিদের।’’
‘‘৩৭০ বাতিল করার মধ্য দিয়ে সকল ভারতীয় কাশ্মীরে জমি ক্রয় করতে পারবে। এই নীতির কারণে অদূর ভবিষ্যতে নিজ ভূমে পরবাস হতে পারে কাশ্মিরের মুসলিম জনতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধু পাকিস্তান ও ভারতকে সংযত থাকার অনুরোধ করে, কিন্তু কাশ্মীরের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য কেউ কাজ করে না।’’
কাশ্মীর সংকট দক্ষিণ এশিয়ার জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান জনাব ইরান বলেন, কাশ্মীরিদের যে বিশেষ স্বায়ত্বশাসন (আর্টিকেল ৩৭০) তা রদ করে ভারত এই অঞ্চলকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ভারত সরকারকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাম্প ছেড়ে কাশ্মীরের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের উচিৎ কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানো। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাশ্মীর সংকটের সমাধান করতে হবে।
মানবাধিকার সংরক্ষন সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই বলেন, কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অধিকাংশ মুসলিম নিয়মিত নির্যাতিত হচ্ছে। কাশ্মীরের সংকটের ভুক্তভোগী আমরা সবাই। কাশ্মীরের সমস্যা সমাধানে আজকের এই সংহতি দিবসে আমাদের সবাইকেই একত্রিত হওয়া উচিত। কারফিউ, অবৈধ আটক, খুন, সুপরিকল্পিত হত্যা, অবরোধ, বসতবাড়িতে আগুন, নির্যাতন, গুম, ধর্ষণ, মুসলিম নারীদের উপর নির্যাতন এবং নকল এনকাউন্টারের মাধ্যমে হত্যা কাশ্মীরের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব মৃত্যু এবং নির্যাতন বন্ধের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ এবং জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে গণভোট আয়োজনের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরীদের মতামত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিৎ। সমাবেশে মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীল শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান মিরাজুল ইসলাম। এসময় সেখানকার সমাজের দুর্দশা ও তাদের উপর সশস্ত্র বাহিনীর নির্মমতার কথা তুলে ধরেন তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কাশ্মীরে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন ইত্যাদি মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজের জন্য ভারতকে দায়ী করেছে এবং নিন্দা জানিয়েছেন।
নগর লেবার পার্টির সহ-নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে জাতীয় ইমাম সমাজের চেয়ারম্যান মাওলানা বেলায়েত হোসেন আল ফিরোজী, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ জনি হোসেন, মহানগর নেতা এনামুল হক, তারিকুল ইসলাম, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন, সাধারন সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত ও যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ লিটন হোসেন প্রমুখ।
এ আর/বিআরইউ