ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানায় না মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার আগে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের স্লোগান দেয়! ক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। তাই আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র প্রত্যাশা করা হাস্যকর।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে আগ্রাসন উত্তেজন সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। ভারতীয় সীমান্তেও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। মূলত: জনভিত্তিহীন সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও ভারতের তাবেদারীর কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো বেসামাল আচরণ করছে। অন্যদিকে দেশের জনগণ দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের কারণে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ আজ দিশাহারা। নিয়ন্ত্রণহীন কালোবাজারি মুনাফাখোর সিন্ডিকেট গোষ্ঠী। নিয়ন্ত্রণহীন বাজার মূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ‘মুনাফা শিকারি’ লুটেরাদের হাতে। পণ্য পরিবহনে দুর্নীতি, হয়রানি ও চাঁদাবাজি হচ্ছে। বাজারে অসৎ ব্যবসায়ী ও মুনাফাখোরদের একচেটিয়া প্রভাব কমানো না গেলে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
তিনি আজ (বুধবার) বিকাল ৪টায় ডামি নির্বাচনের সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৮৫/১ নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মো. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মো. জনি হোসেন, মহানগর নেতা এনামুল হক, তারেক আজিজ, মাসুদ পাটোয়ারী, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।
এইচআর