Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

মুফতি ফয়জুল করীম

জাতীয় চিন্তার আলোকে পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা সিলেবাস আমূল সংশোধন করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম


জাতীয় চিন্তার আলোকে পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা সিলেবাস আমূল সংশোধন করতে হবে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ অথচ এ দেশের শিক্ষা সিলেবাস থেকে কৃষি শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে আমরা বলতে চাই জাতীয় চিন্তার আলোকে পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা সিলেবাস আমূল সংশোধন করতে হবে।

আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি)  বৃহস্পতিবার জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে  “বিতর্কিত জাতীয় পাঠ্যক্রম; প্রজন্মের প্রকৃত শিক্ষা ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি ।

তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডার হলো কিছু পাগলের পাগলামির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। অথচ সেই পাগলামির শিক্ষাকেই আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ্য সিলেবাসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী সভাপতির  বক্তব্যে বলেন, যে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়েছে, তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করলে মুসলমানের ঈমানে ঘাটতি তৈরি হবে। আগামীর মা বাবারা তাদের সন্তানদের শেখানোর জন্য ন্যূনতম যে ধর্মীয় শিক্ষা প্রয়োজন, তাও তারা দিতে পারবে না।

কবি ও দার্শনিক মুসা আল হাফিজ বলেন, পাঠ্যবইয়ে আত্মপরিচয়ের জায়গায় ধর্মকে বাদ দেয়া হয়েছে। অথচ ধর্মপরিচয় একজন ব্যক্তির অন্যতম আত্মপরিচয়। এছাড়া অখণ্ড ভারতীয় চেতনার সমর্থন করে বাংলাদেশকে ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে বইতে।মুসলিম শাসক ও ভারতবিজেতাদের ইতর বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। সুলতানী আমলের রাজধানী সোনারগাঁ এর ইতিহাস থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। যা ঐতিহাসিকভাবে ও বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল।

তিনি আরও বলেন, যারা পাঠ্যপুস্তকে এসব বিষয় সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে আমাদের প্রজন্মকে হিন্দুত্ববাদ ও সাম্রাজ্যবাদের দাস হিসাবে গড়তে চায়, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

মুসা হাফিজ আরও বলেন, এই সিলেবাস আমাদের ৯০ ভাগ মুসলমানের মনে আঘাত দিয়েছে। সিলেবাসের এই বিকৃতি হঠাৎ করেই হয়ে যায়নি৷ বরং ইসলাম বিরোধী দীর্ঘমেয়াদি এজেন্ডার একটা তীব্র বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে হাল আমলে এসে। যৌন বিকৃতির এই প্রজেক্ট, কেবল পশ্চিমাদের প্রজেক্ট না। বরং এটা সরাসরি ইবলিসের প্রজেক্ট।

আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, আমাদের সন্তানরা আমাদের ও দেশের সম্পদ। সুতরাং সরকার নিজ মনগড়া সিদ্ধান্তে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার অধিকার রাখে না। পাঠ্যপুস্তকের কোন তথ্যে যদি ভুল থাকে, তাহলে তা নিয়ে কথা বলা এবং সংশোধনের দাবী তোলা সচেতন নাগরিকদের দায়িত্ব। আমাদের ভ্যাট-টেক্সের টাকা অপচয় করে আমাদের সন্তানদের অখাদ্য গেলানোর অধিকার কারো নেই।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলনা ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী কাসেমী, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আনোয়ার শাহ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, চিন্তক আলেম মুফতি লুৎফর রহমান ফরায়েজী,  মুফতি রেজাউল করীম আবরার, সালাফি আলেমগণের অন্যতম মূখপাত্র মাওলানা মোয়াজ্জম হোসেন সাইফী,  আহলে হাদীস আলেম আবদুল্লাহ বিন আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওলানা ইসমাইল সিরাজী আল-মাদানী ও মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমী।

আরএস

 

Link copied!