Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

২৮ অক্টোবরে যেটা হয়েছে সেটা সরকারই ক‌রেছিল: মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম


২৮ অক্টোবরে যেটা হয়েছে সেটা সরকারই ক‌রেছিল: মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার তাদের রক্ষা করার জন্য যা করার দরকার ছিল সেটাই করেছে। কারণ তারা জানত যদি এই সমাবেশ ঠিকভাবে হয়ে যায় তাহলে এই সরকার আর টিকে থাকতে পারবে না। ২৮ অক্টোবরে যেটা হয়েছে সেটা সরকারই ক‌রে ছিল।

আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির পর মানুষ একটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা এমনভাবে নেমেছিলাম, মানুষ ভেবেছিল এই সরকার এবার শেষ। কিন্তু তা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে আন্দোলন করেছি তাতে কখনো ভাটার টান পড়েনি। বিএনপি যদি এখন একটা সমাবেশের ডাক দেয় তাহলে এখনো পল্টনের এক মাথা থেকে আরেক মাথা দেখা যাবে না। আমরা তো বলছি না আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে বসাব। আমরা বলছি অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া হোক। এটা খুবই ন্যায্য একটা দাবি।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এই লড়াই যা-ই হবে, এই সরকারের সাথে কোনো আপস নেই। আর যারা এই সরকারকে মদদ দিচ্ছে তাদের সাথেও কোনো আপস করব না। সেটা চীন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত যেই হোক না কেন। শুনেছি আমেরিকার কর্মকর্তারা না কি সরকারের সাথে কথা বলছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার জন্য। এরকম শুনলে তো ভালোই লাগে। তাই আমাদের যুগপৎ আন্দোলন চলছে, চলবে। যখন সবাই মিলে রাজপথে নামবে তখন যেতে বাধ্য হবে।

মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে ভোট হয়ে গেলেই শেষ। এখন সেখানে কত পার্সেন্ট ভোট পড়েছে, কত মানুষ ভোট দিয়েছে সেটা তারা বলে না। তারা মঞ্চ সাজিয়েছে তাতেই শেষ। ৭ জানুয়ারিতে কি কোনো ভোট হয়েছে? সেটা কোনো ভোটই হয়নি। সেখানে ১ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে, না কি ৫ পার্সেন্ট ভোট হয়েছে সেটা তারা দেখে না। তাই এই নির্বাচনে এই সরকারের কোনো প্রাপ্তি নেই। তারা কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছে।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দুর্ভিক্ষ আমাদের দেশে ঢুকে যাচ্ছে। বর্ডারে শত শত ট্রাক কচুরমুখী নিয়ে দেশে ঢুকছে। কচুরমুখী কখন খায়? যখন দেশে দুর্ভিক্ষ আসে। মোদি সাহেব দেশে কচুরমুখী পাঠিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। আজকে আওয়ামী লীগের একেকটা নির্বাচন হচ্ছে একেকটা স্টাইলে। আর সেই নির্দেশনা আসছে ভারত থেকে। আজকে তারা পুরা জাতিকে দিশেহারা জাতিতে পরিণত করছে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন বলেন, গণতন্ত্রের প্রধান বাধা আওয়ামী লীগ। তারা তিনটা নির্বাচন করেছে। কিন্তু বিএনপিকে বাইরে রেখে। তারা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে চায় না। তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আমাদের বিশ্বাস এই সরকার এবার তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না। আমরা এমন আন্দোলন করব যে এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।

রকিবুল ইসলাম রিপন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আল নোমান ও এবি পার্টির নেতা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।

বিআরইউ

Link copied!