নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২, ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২, ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার একটিই কাজ পারে জুলুম, নির্যাতন, ফোরটোয়েন্টি, ঠকবাজি করে ভোট নিজের পক্ষে দেখাতে, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের সঙ্গে নির্দয়ের মতো রসিকতা করছেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পূর্ণ ব্যর্থতা এবং ব্যাংক-অর্থনীতি ধ্বংসকারী ও অর্থপাচারকারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না কারণ সিন্ডিকেটের লোকজন সবাই তার দলের লোক। সরকার একটিই কাজ পারে জুলুম, নির্যাতন, ফোরটোয়েন্টি, ঠকবাজি করে ভোট নিজের পক্ষে দেখাতে। অথচ জিনিসের দাম বাড়ছে একের পর এক, মানুষের জান বেরিয়ে যায়। ওনারা কোনও জিনিসের দাম কমাতে পারেননি।
সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এরা শুধু ভোট ডাকাত বা চোর না, এরা ব্যাংক লুটেরা, জনগণের ওপর নির্যাতনকারী। এরা মানুষের মৃত্যুর ওপর দাঁড়িয়ে হা হা করে হাসতে পারে, রসিকতা করতে পারে। এই সরকারের মানবিকতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, মানুষের প্রতি কোনও ভালোবাসা নেই। দেশের জন্য উন্নয়নের কোনও ভালো চিন্তা নেই।’
একদিন দেশের পরিস্থিতি বদলাবে মন্তব্য করে মান্না বলেন, ‘সেই বদলানোর জন্যই আমরা কাজ করছি। সেই দিন সমাগত। আসছে সামনে, মানুষ নিজেরা বাঁচার তাগিদে ভোট, ভাত ও গণতন্ত্রের দাবিতে রাজপথে নামবে। সেই লড়াই হবে চূড়ান্ত।’
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেইলি রোড নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেটি দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি, ব্যথিত হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ওই ভবনে একটিও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিল না। বলার পরেও লোকগুলো সচেতন হয়নি।’ মানে উনি বোঝাতে চেয়েছেন— এই দুর্ঘটনার সব দোষ যারা মরেছে, যারা এখানে ব্যবসা করেছে। যেমন করে দেশে ও বাইরে গিয়ে বলেন— এত সুন্দর ভোট ৭৫ এর পরে আর হয়নি। আমাদের দেশে মানুষের জীবনের মতো তুচ্ছ আর কিছু নেই, অন্তত সরকারের কাছে।’
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জি. মোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাড. সৈয়দ এহসানুল হুদা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এ জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
ইএইচ/বিআরইউ