Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪,

রুহুল কবির রিজভী

বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতের শাড়ি দিয়ে কাঁথাও বানায় না

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২৮, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম


বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতের শাড়ি দিয়ে কাঁথাও বানায় না

দেশের স্বার্থ নিয়ে সরকারপ্রধান তামাশা করছেন। বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতের শাড়ি তেমন কিনে না। ভারতীয় পুরোনো শাড়ি দিয়ে তারা কাঁথাও বানায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে’ মারা যাওয়া, গুম হওয়া ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতা-কর্মীদের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তারও আগে গতকাল বুধবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির যে নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলছেন, তাদের স্ত্রীদের ভারতীয় শাড়ি এনে কেন পুড়িয়ে ফেলছেন না? তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, তাদের বউরা যেন ভারতীয় শাড়ি না পরেন।

রিজভী বলেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে, বিয়ের পর একবার গিয়েছিলাম। আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে- পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনৈতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেল, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো সেই নির্বাচনকেও তারা স্বীকৃতি দিল। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেল তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে ‍‍`আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে- আমরা কোনো দলের পক্ষে নয়।‍‍`

তিনি বলেন, যে দেশ একটি ভোটডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, সেই দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

ভারতের পণ্য বর্জন করায় সরকার ও তাদের লোকরা এত বিচলিত কেন- এমন প্রশ্ন রাখেন রিজভী।
তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা, ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে কেন কথা বলা যাবে না। এগুলো কি দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না?

বিআরইউ

Link copied!