নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুন ১৪, ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুন ১৪, ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালাসের পর রাষ্ট্রপক্ষের আপিল পরর্বতী জজ কোর্টের রায়েও খালাস পেয়েছেন । এখন তাঁর দেশে ফেরার চাবি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।
তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, আসামি হিসেবে নয়, নির্বাসিত রাজবন্দি হিসেবে ‘রাজকীয়’ বেশে দেশে ফিরবেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কক্সবাজারের পেকুয়ার সন্তান সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়নকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আশির দশকে এরশাদের রোষানলে পড়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন অনেকবার। ৬ষ্ঠ বিসিএস পরীক্ষায় ১৯৮৫ সালে অংশ নিয়ে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বিসিএস (প্রশাসন) চাকরিতে যোগদান করেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসনে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসাবে দায়িত্বপালনকালে ১৯৯১ সালে তিনি তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসাবে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ তখন থেকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নেমে পড়েন। এরপর ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অষ্টম সংসদ নির্বাচনের পর চারদলীয় জোট বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করলে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। পাশাপাশি কক্সবাজার জেলার `ইনচার্জ মিনিস্টার` হিসাবেও দায়িত্বপালন করেন তিনি। ২০০২ সালের ২৭ এপ্রিল বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা কে ভেঙে ‘পেকুয়া’ নামক একটি আলাদা উপজেলা প্রতিষ্ঠা করেন।
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন সরকারের আমলে দুই বছরের বেশী সময় ধরে কারাগারে বন্দী থেকে ২০০৯ সালের মার্চে তিনি কারামুক্ত হন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ কারাগারে থাকাবস্থায় সাজাপ্রাপ্ত হলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমেদ কক্সবাজার-১ আসনে চারদলীয় জোটের মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থীকে প্রায় ৩৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ ১৯৯৬ সালে প্রথমে কক্সবাজার কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এবং পরে পরপর দু’বার কাউন্সিলের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি’র জাতীয় কাউন্সিলে সালাহ উদ্দিন আহমেদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ২০১৩ সালের মার্চে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের ডাকা আন্দোলনের `মুখপাত্র` হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তৎকালীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ আটক হয়ে তিন মাস কারাবন্দি ছিলেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিএনপির কঠোর আন্দোলনের সময় তিনি আন্দোলনের ‘মুখপাত্র’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা আন্দোলনের `মুখপাত্র` হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তৎকালীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। গোপনে অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে তিনি আন্দোলন `চাঙ্গা` রেখেছিলেন।গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাঁকে আটকের জন্য খুঁজছিলেন। উত্তরার এক বন্ধুর বাসা থেকে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ করেন। তাঁকে গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী ও সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ।
পরবর্তীতে দুই মাস পর ২০১৫ সালের ১১ মে তাকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরের গলফ লিংক মাঠে `মানসিক বিপর্যস্ত ` অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। সালাহউদ্দিন আহমদের ভাষ্য ‘উত্তরার এক বন্ধুর বাসা থেকে তাঁকে চোখ বেঁধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ‘পরিচয়’ দিয়ে গুম করা হয়। দুই মাস পর একটি প্রাইভেট কারে করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে কে বা কারা রেখে যায়। তাকে কারা অপহরণ করেছেন, দুই মাস কোথায় রেখেছিলেন এবং কারা তাঁকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে নিয়ে গেলেন এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না’।
১১ মে সকালে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শিলং পুলিশ স্টেশনে পুলিশের কাছে যান তিনি। পুলিশ তাকে ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত’ দেখে প্রথমে শিলং মানসিক হাসপাতালে,পরে শিলং সিভিল হাসপাতালে এবং সর্বশেষ শিলং শহরের বিশেষায়িত হাসপাতাল নিমগ্রিসে ভর্তি করান। মানসিক অসুস্থতার কোন `লক্ষণ` পা নি চিকিৎসকরা।
মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ ২০১৫ সালের ৩ জুন ভারতে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগ এনে বৈদেশিক নাগরিক আইনের ১৪ ধারায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রথমে শিলং জেলে এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিলং শহর ছেড়ে না যাওয়ার শর্তে বিজ্ঞ আদালত পরে সালাহ উদ্দিন আহমদকে জামিন প্রদান করেন। ৯ বছর ধরে খাসিয়া খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকা শিলং শহরে ‘সানরাইজ গেস্ট হাউজ’ নামক একটি দোতলা ভাড়া বাড়িতে তিনি বসবাস করছেন।
মেঘালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সালাহউদ্দিন আহমেদকে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ২২ জুলাই মামলার চার্জশিট দেয়া হয়। এই মামলায় ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর সালাহউদ্দিন আহমেদকে বেকসুর খালাস প্রদান করে শিলং আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ডিজি খার শিং রায় ঘোষণা করেন।
প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের এই রায়ে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’কে সালাহ উদ্দিন আহমদকে দ্রুততম সময়ে সমস্ত রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে হস্তান্তর করার জন্য নির্দেশ দেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ যখন আদালতের রায় অনুযায়ী সে দেশের রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ভারতের সরকার বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জজ আদালতে আপিল করেন। জজ কোর্টের রায়েও গত বছর ফেব্রুয়ারি খালাস পেয়েছেন তিনি।
গত বছর তার পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তিনি হাতে পেয়েছিলেন ট্রাভেল পারমিট।এর মেয়াদ ছিল তিন মাস।এই সময়ে ট্রাভেল পারমিট নিয়ে দিল্লীতে গিয়ে চিকিৎসার কাজ সম্পন্ন করেন তিনি। গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
২০১৮ সালে তিনি যখন ভারতের বিচারিক আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছিলেন, তখন মেঘালয় রাজ্য সরকার তাঁকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কে চিঠি দিয়েছিল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জবাব দেয়নি। `কেন্দ্রীয়` সরকারের অনুমোদন না পেলে মেঘালয় রাজ্য সরকার কোনো বিদেশিকে নিজ দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে না। কারণ ফেডারেল সরকার ব্যবস্থায় পররাষ্ট্র, অর্থ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।
মেঘালয় সরকার এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল এভাবেই `উপরোল্লিখিত হাই প্রোফাইল` বাংলাদেশিকে তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর জবাব দেয়নি। এর পেছনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সরকারের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাঁর সমথর্কদের। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি ছাড়া দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফেরার চাবি এখন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।
তিনি ভারতের মেঘালয়ের শিলং শহরে নির্বাসিত থাকাবস্থায় বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।তবে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর থেকে অনলাইনে দলের নীতি নির্ধারণী সভায় অংশ নিয়ে আসছেন তিনি। গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার চার প্রবেশপথে ‘অবস্থান কর্মসূচির’ সমন্বয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নির্দেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু সুফিয়ান , কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী সহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা সেদিন যাত্রাবাড়িতে অবস্থান করে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর কারামুক্ত হয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে পদ থেকে সরে যেতে চান বলে খালেদা জিয়া কে জানিয়েছেন। বিষয়টি তারেক রহমানকেও একাধিকবার অবহিত করেন। তাই বিকল্প নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড থেকে দায়িত্ব পালন করে যেতে অনুরোধ জানানো হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সূত্রে জানা গেছে, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ সভায় কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম । তাতে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন একমত প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বিষয়টিতে ঐকমত্য পোষণ করেন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠক ও পর্দার আড়ালে বিএনপির ভবিষ্যৎ মহাসচিব হিসেবে ভারতে নির্বাসিত থাকা স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
ছাত্রদল থেকে উঠে আসায় বর্তমানে দলের ভবিষ্যৎ `মহাসচিব` হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি ‘আলোচনায়’ আছেন। দলের মহাসচিব পদে সালাহ উদ্দিন আহমেদ কে ঠেকাতে একটি বিশেষ মহল ‘মিশন’ নিয়ে নেমেছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁর সমর্থকরা।
তাঁকে দেশে ফিরতে আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছেন বলে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনেকে বলছেন, ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলনের কর্মসূচি ও কৌশল নির্ধারণে তার প্রভাব ছিল।
বিএনপির আইন বিষয় সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,‘সালাহ উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে যত গুলো মামলা আছে,সব গুলো মামলা ই রাজনৈতিক।গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলাকালে ২০১৫ সালে তাঁকে গুম করা হয়।পরবর্তীতে তাঁকে ভারতের শিলং শহরে পাওয়া যায়।তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। দলের জন্য তাঁর ত্যাগ এবং দেশের জন্য অবদান কে দলের নেতাকর্মীরা সম্মানের চোখে দেখে।ফলে নেতাকর্মীদের হৃদয়ে তিনি স্থান করে নিয়েছেন।একজন নির্বাসিত রাজবন্দি হিসেবে তিনি রাজকীয় বেশে দেশে ফিরবেন এবং দলের হাল ধরবেন । ভারত সরকার তাঁকে যেন আসামি হিসেবে নয়, একজন রাজবন্দি হিসেবে তাকে ফেরত পাঠায়।’
কক্সবাজার জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানান, ‘কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ও মেধাবী রাজনীতিবিদ সালাহ উদ্দিন আহমদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় দেশের জনগণ। এই মুহূর্তে সালাহ উদ্দিন আহমেদ সরাসরি দলের নেতৃত্ব দিলে বিএনপির উজ্জ্ববিত হবে।’
জানতে চাইলে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন,‘বিষয়টি কাউন্সিলের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। তা ছাড়া আমাদের চেয়ারম্যানের হাতেও এ বিষয়ে ক্ষমতা দেওয়া আছে।’ তবে দেশে ফেরার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
বিআরইউ